উপমহাদেশে ভারতীয় ব্রিটিশ রাজত্বের শেষ দশক
দীপঙ্কর মুখোপাধ্যায়
ভারতের স্বাধীনতা অর্জন প্রায় পঁচাত্তর বছর আগে অগাস্টের মধ্যরাত্রে ঘটা কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়, এর প্রস্তুতি চলছিল দীর্ঘদিন ধরে। প্রায় দেড় দশকব্যাপী গণ আন্দোলন, পূর্ণ স্বাধীনতার দাবী এবং দফায় দফায় গোলটেবিল বৈঠকের পর ১৯৩৫ সালে ব্রিটিশ পার্লামেন্ট ভারত শাসন আইন পাশ করে। এই আইন অনুযায়ী ১৯৩৭ সালে প্রথম সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়, যার ফলে বিভিন্ন রাজ্যে বিভিন্ন ভারতীয় রাজনৈতিক দল ক্ষমতায় আসে। কেন্দ্রে ব্রিটিশ শাসন বলবৎ থাকলেও তখন থেকে দ্বিতীয় মহাযুদ্ধ, ক্রিপস প্রস্তাব, ভারত ছাড়ো আন্দোলন, তেতাল্লিশের দুর্ভিক্ষ, আজাদ হিন্দ ফৌজের সশস্ত্র অভ্যুত্থান, সিমলা সম্মেলন, ক্যাবিনেট মিশনের প্রস্তাব ও প্রায় অর্ধেক দেশ জোড়া রক্তক্ষয়ী সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার মধ্য দিয়ে ভারত কেমন করে বিভাজন ও স্বাধীনতায় পৌঁছল- এই বই তারই অকথিত না হলেও স্বল্প বিদিত কাহিনি। আমাদের জাতীয় জীবনে এর ব্যাপ্তি ও গভীরতার কথা ভাবলে একে মহাকাব্য বললে বোধহয় ভুল হবে না, আর এই মহাকাব্যের নায়কেরা কেউ দেবতা নন, রক্তমাংসের মানুষমাত্র, তাঁদের কামনা-বাসনা, ভুল-ত্রুটি, রাগ-দ্বেষ, স্নেহ-ভালোবাসার বিবরণ গ্রন্থটিকে এক নতুন মাত্রা দিয়েছে।
,----------------
লেখক পরিচিতি :
জন্ম শিক্ষা কলকাতায়। প্রেসিডেন্সি কলেজে পড়াশোনার পর সর্বভারতীয় সরকারি চাকরির পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে ভারতীয় তথ্য সেবায় যোগদান করেন।
প্রায় সাড়ে তিন দশকের চাকরি জীবনের বেশিরভাগ সময় কেটেছে সংবাদ ও সিনেমা মাধ্যমে।
সিঙ্গাপুরে আকাশবাণীর দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সংবাদদাতা হয়ে কাজ করেছেন, অনেকদিন মুম্বাইতে জাতীয় চলচ্চিত্র উন্নয়ন নিগমের প্রধান ছিলেন। সিনেমা, সাহিত্য ও সঙ্গীত নিয়ে দীর্ঘদিন লেখালেখি করেছেন।
কিংবদন্তী চলচ্চিত্রকার মৃণাল সেন-এর জীবন ও শিল্প নিয়ে লেখা পূর্ণাঙ্গ ইংরেজি গ্রন্থ 'দ্য ম্যাভেরিক মায়েস্ট্রো' সমাদৃত হয়েছে। বর্তমান পুস্তকটি তাঁর চতুর্থ গ্রন্থ।
প্রবেশ করুন বা রেজিস্টার করুনআপনার প্রশ্ন পাঠানোর জন্য
কেউ এখনো কোন প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেননি
Boier Haat™ | © All rights reserved 2024.