নিজের কথায় মরিচঝাঁপি
সম্পাদনা : মধুময় পাল
গণশুনানি চেয়েছেন নির্মলকান্তি ঢালি, মরিচঝাঁপির সেই নেতাজিনগর বিদ্যাপীঠের প্রধান শিক্ষক। যাঁর চোখের সামনে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল বাঁশ-কাঠ-গোলপাতা-খড় দিয়ে নিজেদের হাতে গড়া স্কুলবাড়ি। যে স্কুলের অস্তিত্ব স্বীকার করতে চান না রাষ্ট্রীয় মুখপাত্ররা। তিনি বলেছেন, কুমিরমারি এবং লাগোয়া অন্যান্য দ্বীপে এখনও কিছু মানুষ আছেন, যাঁরা আমাদের সম্পর্কে জানেন, ৭৮-৭৯ সালে উদ্বাস্তুরা মরিচঝাঁপিতে কী করেছিল আর সরকার কীভাবে তাঁদের তাড়িয়ে দিল, জানেন সে-কথা। তাঁদের বলতে দিলেই প্রকৃত ছবিটা বেরিয়ে আসবে। সে-দিনের সরকারের ভয়ংকর অপরাধ চাপা দিতে আজও অপপ্রচার চলছে। কিন্তু গণশুনানির ব্যবস্থা করবে কে? তখন একটা ভাবনা আসে, মরিচঝাঁপির ভুক্তভোগীরা, নিপীড়িতরা যদি তাঁদের কথা লিখে জানান, সেটা ছেপে এক রকম গণশুনানির ব্যবস্থা হতে পারে। নির্মলকান্তিকে বলা হল। তিনি রাজি। আরও লেখা চাই। প্রস্তাব দেওয়া হল। যদিও সময় লাগে, 'নিজের কথায় মরিচঝাঁপি' হয়ে উঠতে থাকে। শুধু লেখা নয়, দলিল-দস্তাবেজও আসে। নেওয়া হয় সাক্ষাৎকার। চিলমারি খাল,
করানখালি-ঝিলা-রায়মঙ্গল নদীতে ভেসে, কুমিরমারি-সাতজেলিয়া-সন্দেশখালি ঘুরে অনুসন্ধানী দল সংগ্রহ করতে থাকেন
প্রবেশ করুন বা রেজিস্টার করুনআপনার প্রশ্ন পাঠানোর জন্য
কেউ এখনো কোন প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেননি