বিপ্লবী-দার্শনিক মানবেন্দ্রনাথ রায়

(0 পর্যালোচনা)


দাম:
₹300.00

পরিমাণ:

মোট দাম:
শেয়ার করুন:

বিপ্লবী-দার্শনিক মানবেন্দ্রনাথ রায়

লেখক- অপূর্ব দাশগুপ্ত

বাংলার এক অজগ্রামে এক দরিদ্র পরিবারে জন্মেও যিনি বিশ্বমানব হতে পেরেছিলেন, সশস্ত্র বিপ্লবী আন্দোলন থেকে কমিউনিস্ট, সেখান থেকে র‍্যাডিকাল ডেমোক্র্যাটিক এবং পরিশেষে দলহীন র‍্যাডিকাল হিউম্যানিস্ট― তাঁর জীবনের এই গোটা অভিযাত্রা সাধারণত আমাদের চর্চার পরিসরে থাকে না। প্রয়োজনীয় বইও অপ্রতুল। তাঁরই প্রতিষ্ঠিত ‘রেনেসাঁস পাবলিশার্স’ তাঁর মতাদর্শের অনুগামী অপূর্ব দাশগুপ্তের লেখা মানবেন্দ্রনাথ রায়ের জীবনী প্রকাশ করেছিল একসময়। বহু চাহিদা সত্ত্বেও নিঃশেষ হয়ে যাওয়ায় দীর্ঘদিন বইটি পাঠক হাতে পাচ্ছিলেন না। আমরা উদ্যোগী হয়েছি এমন একটি অতি প্রয়োজনীয় এবং গুরুত্বপূর্ণ বইয়ের পুনঃপ্রকাশের কাজে।

এম এন রায় বা নরেন্দ্রনাথ, যে নামে তাঁকে চেনার চেষ্টা করি না কেন, তাঁর মৃত্যুর সত্তর বছর পরেও বাংলায় লেখা তাঁর একটি জীবনী কেন আমরা প্রকাশ করছি, বিশেষত আজকের এই ধ্বস্ত সময়ে, তার একটা খুবই প্রাসঙ্গিক উত্তর আমাদের কাছে রয়েছে বলে আমাদের ধারণা। তিনি অনুশীলন সমিতির প্রভাবে ভারতে ব্রিটিশ শাসনের অবসান ঘটানোর জন্য অধুনা সুভাষগ্রাম রেলস্টেশনের টাকা প্রথম স্বদেশী ডাকাতির মাধ্যমে সমিতির হয়ে সংগ্রহ করেন। বাঘা যতীনের আদর্শে উদ্বুদ্ধ হয়ে এক সর্বভারতীয় পরিকল্পনার মাধ্যমে সশস্ত্র উপায়ে ভারতকে ব্রিটিশ শাসনমুক্ত করার পরিকল্পনা করেন। প্রথম বিশ্বযুদ্ধে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে জার্মানি যুদ্ধ করছিল; তারা এক জাহাজ অস্ত্র ভারতীয় বিপ্লবীদের হাতে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়। এই কাজে সমন্বয় ঘটানোর জন্য নরেন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য সি মার্টিন ছদ্মনামে তৎকালীন বাটাভিয়া, আজকের ইন্দোনেশিয়ায় যাত্রা করেন। শুরু হয় ভারতকে বিদেশী শাসনমুক্ত করার আকাঙ্ক্ষায় নরেন্দ্রনাথের এক মহাযাত্রা, যার সমাপ্তি ঘটে আজ থেকে সত্তর বছর আগে, ঠিক এই দিনটিতেই।

বিদেশীদের দেশ থেকে তাড়ালেই হয় না, তারপর কীভাবে দখলমুক্ত দেশকে পুনর্গঠিত করতে হবে, দেশের বেশিরভাগ মানুষকে সুখ-স্বাচ্ছন্দ্যের জীবন নিশ্চিত করতে হবে, এই বিষয়ে কোনো রূপায়ণযোগ্য পদ্ধতি তখনকার উন্মত্ত সেই স্বদেশী দিনগুলিতে কারোর চৈতন্যেই সম্ভবত ছিল না। আর এই মহাজিজ্ঞাসার সন্ধানে পাড়ি জমিয়ে তিনি পৌঁছন সুদূর মেক্সিকোতে, “অশান্ত ব্রাহ্মণ” নরেন্দ্রনাথ ভট্টাচার্যের স্থায়ী রূপান্তর ঘটে মানবেন্দ্রনাথ রায় রূপে। তিনি কমিউনিস্ট আন্তর্জাতিকের সংস্পর্শে আসেন; সেই সুবিপুল এবং সারা পৃথিবীর সেরা বিপ্লবীদের সমাহারে গঠিত আন্তর্জাতিক কেন্দ্রের একজন কর্মকর্তা হয়ে ওঠেন।

ভারতের মুক্তিসংগ্রামকে কেন্দ্র করেই তাঁর যে যাত্রা শুরু হয়েছিল, সেই কেন্দ্রাভিমুখী টানে তিনি গোপনে ভারতে আসেন, যদিও তাঁকে ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের যেকোনো প্রান্তে দেখতে পেলেই গ্রেপ্তারের আদেশ বলবৎ ছিল। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হলে সুদূর দেরাদুনে বসে, কেবল রাজনৈতিক ধীশক্তি এবং ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমের ছাঁকনি-গলে-আসা খবর বিশ্লেষণ করে এই যুদ্ধে ফ্যাসিস্ট শক্তির অবধারিত পরাজয়ের ইঙ্গিতগুলি পাক্ষিক পত্রিকা ‘র‍্যাডিক্যাল হিউম্যানিস্ট’-এ নিয়মিত লিখে গেছেন। ১৯৪৭ সালের পর যখন ভারতের আইনসভা ইংরেজ-বর্জিত ভারতের সংবিধান কেমন হবে সেই বিষয়ে আলোচনা চালাচ্ছে, তিনি এই বিষয়ে তাঁর সুচিন্তিত মতামত রেখেছেন। বিপ্লবী কাজের সূত্রে তিনি আত্মগোপন করে কাজ করেছেন ইউরোপ ও এশিয়ার অনেক খ্যাত অখ্যাত শহরে, সংস্পর্শে এসেছেন লেনিন থেকে শুরু করে মাও সে তুং-এর; দাবা খেলায় পরাজিত করেছেন স্বয়ং আলেখিন-কে।

এই বইয়ের জন্য এখনও কোন পর্যালোচনা নেই

বই সংক্রান্ত জিজ্ঞাসা (0)

প্রবেশ করুন বা রেজিস্টার করুনআপনার প্রশ্ন পাঠানোর জন্য

অন্যান্য প্রশ্নাবলী

কেউ এখনো কোন প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেননি

Boier Haat   |   © All rights reserved 2023.