বনফুলের চারটি উপন্যাস
কিছুক্ষণ ।। রাত্রি।। লক্ষ্মীর আগমন ।। মানসপুর
সুজন প্রকাশনী
প্রচ্ছদ : প্রণবেশ মাইতি
সময়ের স্রোত বহিয়া চলিয়াছে।
সূর্য-চন্দ্র-গ্রহ-তারা, সৃষ্টি-স্থিতি-প্রলয়, জন্ম-জীবন-মৃত্যু সব চলিয়াছে। কত আশা- নিরাশা, আনন্দ-অবসাদ, স্তুতি-নিন্দা, সুন্দর-কুৎসিত, কালস্রোতের ঘূর্ণাবর্তে লীলায়িত হইয়া উঠিতেছে। অদৃশ্য ভবিষ্যৎকে লক্ষ্য করিয়া-কিংবা হয়তো লক্ষ্য না করিয়াই- নিখিল বিশ্ব ভাসিয়া চলিয়াছে।
আমিও চলিয়াছি।
গরুর গাড়ির গাড়োয়ানটাকে বলিলাম, তুই ট্রেনটা ফেল করাবি দেখছি একটু হাঁকিয়ে চ। ফলে সে অশ্রাব্য ভাষায় গালাগালি দিয়া মন্থরগতি বলীবর্দযুগলকে উত্তেজিত করিবার চেষ্টা করিল। গতিবেগ সামান্য একটু বাড়িল বটে, কিন্তু তাহা এমন নয় যে, নিশ্চিন্ত হওয়া যায়।
বন্ধুর গ্রাম্য পথ।
যতদূর দৃষ্টি চলে, চাহিয়া আছি। চোখে পড়িতেছে দূরে তালগাছের সারি। ঋজু বলিষ্ঠ দেহ লইয়া আকাশের বুকে নিজেদের বৈশিষ্ট্য আঁকিয়া রাখিয়াছে। তাহাদের আশপাশের ঘনসন্নিবদ্ধ বৃক্ষশ্রেণীকে এতদূর হইতে চেনা যায় না। নগণ্য জনতার মতো উহারা দিগন্তরেখাকে আড়াল করিয়া রাখিয়াছে মাত্র। ডানদিকের একটা ঝোপ হইতে একটা শৃগাল হঠাৎ বাহির হইয়া এদিক ওদিক চাহিতে লাগিল। তাহার পর হঠাৎ আমাদের সাড়া পাইয়া সচকিত হইয়া ছুট দিল। সঙ্গে সঙ্গেই দেখি আর একটা। গাড়োয়ান গরু দুইটিকে আর একবার সম্ভাষণ করিয়া আমাকে বলিল, গতিক ভাল লয়।
প্রবেশ করুন বা রেজিস্টার করুনআপনার প্রশ্ন পাঠানোর জন্য
কেউ এখনো কোন প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেননি
Boier Haat™ | © All rights reserved 2024.