বৃহন্নলা
হুমায়ুন আহমেদ
বাংলাদেশের জনপ্রিয়তম ঔপন্যাসিকের লেখার দুই জনপ্রিয় চরিত্র হিমু ও মিসির আলি। হিমু ভবঘুরে, হলুদ পাঞ্জাবি গায়ে, খালি পায়ে উদ্দেশ্যহীনভাবে ঘুরে বেড়ায় রাতের অন্ধকারে, পথে পথে। তাকে চোর-জোর মনে করে পুলিশ থাপ্পড় মারে, কিন্তু পরের দিনই ভুল বুঝতে পেরে ক্ষমা চেয়ে নেয়। হিমু নির্মোহ, আধুনিক যুক্তিবিজ্ঞানের সাহায্যে তার কাজকর্ম ব্যাখ্যা করা যাবে না। অন্যদিকে মিসির আলি যুক্তিবাদী, সবকিছুই সে যুক্তি দিয়ে বুঝে নিতে চায়। অসংখ্য কৌতূহলী পাঠকের প্রশ্নের উত্তরে হুমায়ূন আহমেদকে বলতে হয়েছিল ‘আমি অর্ধেক হিমু, অর্ধেক মিসির আলি।' বৃহন্নলা' উপন্যাসে এই মিসির আলিকেই আমরা দেখতে পাই। সুধাকান্তবাবু লেখককে যে গল্প শোনান তা কি সত্যিই ভূতের গল্প? কৃষ্ণপক্ষের রাতে বাড়ির পিছনে যে থপথপ করে হাঁটে, নিশ্বাস ফেলে, জানলার পাট হঠাৎ করে বন্ধ করে দিয়ে ভয় দেখায়, হাসে, নাকি সুরে কাঁদে সে কি সত্যিই সাপের কামড়ে মরে যাওয়া রূপবতী মেয়েটির ভূত, যার সঙ্গে সুধাকান্তবাবুর বিবাহের ঠিক হয়েছিল? মিসির আলি কি শেষপর্যন্ত এই ভৌতিক গল্পের রহস্য ভেদ করতে পেরেছিলেন? সুধাকান্তবাবুর শেষ পর্যন্ত কী হল? বৃহন্নলা’ ছোটো কিন্তু অসাধারণ একটি উপন্যাস।
প্রবেশ করুন বা রেজিস্টার করুনআপনার প্রশ্ন পাঠানোর জন্য
কেউ এখনো কোন প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেননি
Boier Haat™ | © All rights reserved 2024.