দেবদূতের বুলেট
মনীষ মুখোপাধ্যায়
...‘টাইম হয়ে এসেছে‚ পনেরো সেকেন্ড বাকি আছে মাত্র।’ ঘোষণা করলেন নেত্য চাকলাদার।
বেহুলা বোস উলটোদিকে ঘুরে গেলেন। তিনি আমাদের কারও মৃ*ত্যুই দেখতে চাইছেন না। সারা জীবন যিনি এত মৃ*ত্যু দেখলেন তিনি মৃত্যুর থেকে মুখ ফিরিয়ে নিতে চাইছেন‚ এ এক আশ্চর্য জগৎ! মানুষও এই জগতের মতোই আশ্চর্য। চাকলাদার গুনতে শুরু করলেন, ‘দশ... নয়... আট...সাত... ছয়... পাঁচ... চার... তিন... দুই... এক...’ দ্রুত ডান হাত থেকে বাঁ'হাতে চালান করলাম পি*স্তলটা। ওটা রেডি করাই আছে। কাজটা করলাম এক সেকেন্ডেরও কম সময়ে। দাওয়াইবাবার শেখানো ট্রিক। আগে কখনও কাজে লাগেনি, আজ লাগল। চাকলাদারের হাত থেকে রুমাল মাটিতে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে আমি গু*লি চালালাম। আর সঙ্গে সঙ্গেই বাঁদিকে ঝাঁপ দিলাম। ঘটনাটা ঘটল তড়িৎ গতিতে।
এক মুহূর্তের জন্য শুধু মনে হল আমার কানের পাশ ঘেঁসে আগুনের একটা গোলা বেরিয়ে যাচ্ছে।
দেবদূতের বু*লেট আজও মিস করেনি। আমি ঈশ্বরের বুকে গু*লি করতে চেয়েছিলাম। গু*লি সেখানেই লেগেছে। উনি আরও কিছুক্ষণ শ্বাস নিলেন জোরে জোরে। ক্ষমা চাইলেন বেহুলা বোসের কাছে। আমাকে দেখে হাসলেন। কষ্ট জড়ানো ক্ষীণ গলায় বললেন‚ ‘শাবাশ!' তারপর চোখ বুজে ফেললেন। খেলা শেষ হল। আমি সব্যসাচী‚ এটা দাওয়াইবাবার আশীর্বাদ বা আমার খু*নি ধরমের প্রভাব‚ আমি জানি না এর আসল কারণ কী!...
প্রবেশ করুন বা রেজিস্টার করুনআপনার প্রশ্ন পাঠানোর জন্য
কেউ এখনো কোন প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেননি
Boier Haat™ | © All rights reserved 2024.