ধর্মতন্ত্রের সত্য-মিথ্যা
তপোধীর ভট্টাচার্য
প্রকৃতপক্ষে ধর্মের সংজ্ঞা কী, এ সম্পর্কে প্রাচীন ভারতীয় চিন্তাবিদেরা অনেক সূক্ষ্ম চিন্তা করেছে। সংস্কৃত 'ধৃ' ধাতু থেকে ধর্ম শব্দের উৎপত্তি। এতে এই দ্যোতনা পাওয়া যাচ্ছে, যা জীবজগৎকে ধারণ করে তা-ই ধর্ম। অর্থাৎ নৈতিকতা ও ধর্মের সম্পর্ক অবিচ্ছেদ্য। মানুষকে যা সুন্দর, কল্যাণ ও সত্যের পথ দেখায় এবং সেই পথে ক্রমাগত সঞ্চালিত করে তাকেই ধর্ম বলে বুঝতে হবে। কিন্তু ইদানীং হিন্দুধর্ম, ইসলামধর্ম, খ্রিস্টধর্ম, ইহুদিধর্ম, বৌদ্ধধর্ম, জৈনধর্ম ইত্যাদি বলতে সবাই অভ্যস্ত।
ভারতীয় উপমহাদেশ ছিন্নভিন্ন হয়ে আছে ধর্মরক্ষার অজুহাতে। দেশভাগের বাহাত্তর বছর পরেও খণ্ডিত ভারতের রাষ্ট্রব্যবস্থায় দখলদারি কায়েম করেছে অন্ধ সাম্প্রদায়িকতার রাজনীতি। অথচ মূল সমস্যা ধর্ম নয় – ধর্মতন্ত্রই সব বিবাদ ও সংঘর্ষের উৎস। বিজ্ঞান প্রযুক্তি নির্ভর মানবচৈতন্যকে কীভাবে ধর্মীয় মৌলবাদের বিষ গ্রাস করেছে সেটাই 'ধর্মতন্ত্রের সত্য-মিথ্যা' প্রবন্ধ সংকলনের মূল উপপাদ্য।
প্রবেশ করুন বা রেজিস্টার করুনআপনার প্রশ্ন পাঠানোর জন্য
কেউ এখনো কোন প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেননি