সাধনতন্ত্র, তান্ত্রিক ও তন্ত্রসাধনা (১)

(0 পর্যালোচনা)

লিখেছেন/সম্পাদনা করেছেন:
পৃথ্বীশ ঘোষ

দাম:
₹350.00

সংস্করণ:
পরিমাণ:

মোট দাম:
শেয়ার করুন:

সাধনতন্ত্র, তান্ত্রিক ও তন্ত্রসাধনা (১) 

পৃথ্বীশ ঘোষ 

শিব ও শক্তির মিলনের পরিণামই বিশ্বপ্রপঞ্চ। তান্ত্রিকের দৃষ্টিতে জগতের সকল পদার্থেই চৈতন্যরূপিণী শক্তির লীলা চলছে। অতএব সকল পদার্থই চেতন। অচেতন বলে কিছুই নেই। সাধক এই চিৎ-শক্তিকেই প্রণতি নিবেদন করেন। শক্তি থেকে শিব স্বতন্ত্র নন। তার মানে, শক্তিবিরহিত কেবল শিব কর্তৃত্বাদি-ধর্মশূন্য। বামকেশ্বর-তন্ত্রের টীকায় ভাস্কর রায় সিদ্ধান্ত করেছেন- 'সকলকেই এই মহাশক্তির উপাসনা করিতে হয়। মায়াশক্তিকে আশ্রয় করিয়াই ঈশ্বর মূর্তি পরিগ্রহ করেন। এইহেতু তাঁহার পুং-মূর্তি ও স্ত্রী-মূর্তি সবই শক্তি-স্বরূপ। শিব ও শক্তির সম্বন্ধ নিত্য। কখনও তাঁহাদের বিচ্ছেদ নাই। শক্তির পুং-শক্তির স্ফুরণে শিব, বিষ্ণু প্রভৃতি দেবতার আবির্ভাব, আর স্ত্রী-শক্তির স্ফুরণে দুর্গা, সরস্বতী প্রভৃতি স্ত্রী-দেবতার আবির্ভাব। এই তত্ত্ব সবিশেষ অবগত হইয়া উপাসনা করিতে হয়। শিব ও শক্তি উভয়ের মধ্যে প্রভেদ যে কল্পিত, বাস্তব নয় তা-ই দেখানো হইয়াছে। কিন্তু এই ভেদ-কল্পনারও সার্থকতা আছে। কারণ শিব প্রকাশস্বরূপ মাত্র। তিনি অখণ্ড পূর্ণস্বভাব। তবুও তিনি বিশেষ বিশেষ শক্তির মধ্যস্থতায় ধ্যানের বিষয়ীভূত হইয়া থাকেন। সেই আংশিক রূপ বা লক্ষ্মণকে অভিনবগুপ্ত 'শৈবীমুখ' বলিয়াছেন। তার অপর সংজ্ঞা 'শক্তি'। শক্তি-বিষয়ক জ্ঞানের দ্বারা সাধককে শিব-বিষয়ক জ্ঞান লাভ করিতে হয়। অন্য কোনো উপায় নাই। সুতরাং শক্তিই হইতেছেন শক্তিমান শিবের জ্ঞানের উপায় স্বরূপ। শক্তিমান শিব হইতেছেন উপায়।'

সে যাই হোক না কেন, তন্ত্রের প্রতি সাধারণ জনমানসে এক ভয়মিশ্রিত কৌতূহল আছে। মদ, মাংস, মৎস্য, মুদ্রা ও মৈথুন এই পঞ্চ 'ম' তন্ত্রসাধনায় অপরিহার্য। লেখক স্বয়ং একজন তন্ত্রাচারি। তন্ত্র এমনই এক শাস্ত্রীয় আচার যা আত্ম অনুসন্ধান শেখায়। আলোচ্য গ্রন্থটি লেখকের এই আত্মানুসন্ধানের ফসল। এ গ্রন্থ কোনো তাত্ত্বিক আলোচনা নয়, সহজ সরল ভাষায় লেখক বিবৃত করেছেন তন্ত্রের নানা অনুষঙ্গ।

এই বইয়ের জন্য এখনও কোন পর্যালোচনা নেই

বই সংক্রান্ত জিজ্ঞাসা (0)

প্রবেশ করুন বা রেজিস্টার করুনআপনার প্রশ্ন পাঠানোর জন্য

অন্যান্য প্রশ্নাবলী

কেউ এখনো কোন প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেননি