ডবল টেনিদা
নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়
ঝন্টিপাহাড়ির ভূতবাংলোতে ভূতের পিলে চমকানো অট্টহাসিই হোক কিংবা নীলপাহাড়ির ঝাউ-বাংলোয় কাটা মুণ্ডুর বীভৎস নাচ, পটলডাঙার চার মূর্তিকে কুপোকাত করতে পারে, এমন সাধ্য কার!
টেনিদা ও তার তিন শাগরেদ প্যালা, হাবুল ও ক্যাবলা-কে নিয়ে লেখা নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়ের প্রথম ও তৃতীয় উপন্যাস- চার মূর্তি ও ঝাউ-বাংলোর রহস্য- এই প্রথম একসঙ্গে।
টেনিদা
খাঁড়ার মতো নাক আর গড়ের মাঠে গোরা পেটানোর জন্য বিখ্যাত টেনিদা উত্তর কলকাতার পটলডাঙায় চাটুজ্যেদের রোয়াকে বসে কখনো আলুকাবলি, কখনো সিঙারা সাঁটাতে সাঁটাতে তার তিন কিশোর শাগরেদ- প্যালা, হাবুল ও ক্যাবলা-র ওপর ছড়ি ঘোরায় আর মাঝেমধ্যেই বেরিয়ে পড়ে মজাদার সব অ্যাডভেঞ্চারে।
চার মূর্তি
স্কুল ফাইনালের পর টেনিদার নেতৃত্বে চার মূর্তি ছুটি কাটাতে চলেছে রাঁচির কাছাকাছি ঝন্টিপাহাড়ির বাংলোতে। ট্রেনে আলাপ হওয়া সাধু স্বামী ঘুটঘুটানন্দ ও তাঁর দানবাকৃতি শিষ্য গজেশ্বরের কবল থেকে কোনোমতে বেঁচে তারা পৌঁছোয় বাংলোতে। কিন্তু রাত গভীর হতেই সেখানে ভূতের উৎপাত। পরদিন প্রথমে হাবুল সেন উধাও হয়ে যায়, তারপর প্যালা হারিয়ে যায় এক পাহাড়ি সুড়ঙ্গে। শেষমেশ চার মুর্তি ফাঁস করে দেয় ভূতের ভয় দেখিয়ে বাংলোর নীচে জাল নোটের কারবার চালানোর এক জঘন্য ষড়যন্ত্র।
ঝাউ-বাংলোর রহস্য
চার মূর্তি গরমের ছুটিতে চলেছে দার্জিলিং। চকোলেটের র্যাপারে মোড়া রহস্যময় পদ্যে কেউ ওদের বারবার নীলপাহাড়ি আসতে বলতে থাকে। দার্জিলিঙে আলাপ বিজ্ঞানী সাতকড়ি সাঁতরার সঙ্গে। প্রতিদ্বন্দ্বী জাপানি বৈজ্ঞানিক কাগামাছির কাছ থেকে তাঁর যুগান্তকারী আবিষ্কারের ফর্মুলা চুরি যাওয়া আটকাতে চার মূর্তি হাজির হল সাতকড়িবাবুর কেনা নীলপাহাড়ির ঝাউ-বাংলোয়। সেখানে রাত্তিরে তারা দেখল কাটা মুণ্ডুর নাচ। পরের দিন কিডন্যাপ হলেন স্বয়ং সাতকড়িবাবু। ক্যাবলার নেতৃত্বে তদন্তে নেমে চার মূর্তি শুধু সাতকড়িবাবুকেই খুঁজে পেল তাই নয়, ভেদ করল ঝাউ-বাংলোর রহস্যও।
প্রবেশ করুন বা রেজিস্টার করুনআপনার প্রশ্ন পাঠানোর জন্য
কেউ এখনো কোন প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেননি
Boier Haat™ | © All rights reserved 2024.