দীর্ঘ অমানিশার শেষে তখন পাশ্চাত্য শিক্ষার প্রথম আলো ফুটে ওঠার পালা ৷ কলকাতায় আসছেন রামমোহন রায় !
তাঁর আগমন যেন সোনার কাঠি ছুঁইয়ে দিচ্ছে ঘোর নিদ্রামগ্ণ জাতির দেহে৷ প্রথম যে মানুষটি সেই ঘুম ভেঙে উঠে এলেন, এবং পরবর্তীতে যাঁর নাম আমরা মুছে ফেললাম, তিনিই দ্বারকানাথ ঠাকুর ৷
এই মানুষটিই নবজাগরণের সেই বিস্মৃত পশ্চাৎপট, যাঁর ছবিতে কখনো আলো পড়েনি ৷ সেই পট, যার উপরে ফুটে ওঠে রামমোহন রায়, ডিরোজিও, ডেভিড হেয়ারের উজ্জ্বল ছবি ৷ ভারতবর্ষের চিকিৎসাব্যবস্থা, চিত্রকলা,গ্রন্থাগার আন্দোলন, অভিনয়শিল্প, প্রথম রাজনৈতিক সভা, ব্যবসাবাণিজ্য…এমন অসীম অনন্ত ক্ষেত্রে তাঁর অন্তহীন দান আমরা অনায়াসে বিস্মৃত হই ৷
উত্তরপুরুষদের বানিয়ে-তোলা এক ছবিকেই আমরা দ্বারকানাথ ঠাকুর বলে জেনে এসেছি সার্ধশতবর্ষ ধরে ৷
একবারও সত্যকে চিনতে চাইনি ৷
এই বই সেই দ্বিধান্বিত, খণ্ডবিখণ্ড, উদার অথচ প্রশ্ণাতুর মানুষটির মুখে একঝলক আলো ফেলেছে ৷ নতুন আলোয় দেখা দিচ্ছে এক বিস্ময়কর মহাচরিত্র ৷
দ্বারকানাথ ঠাকুর ৷ পরাধীন দেশের রাজপুত্র!… এক আশ্চর্য উন্মোচন ৷
প্রবেশ করুন বা রেজিস্টার করুনআপনার প্রশ্ন পাঠানোর জন্য
কেউ এখনো কোন প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেননি
Boier Haat™ | © All rights reserved 2024.