এক যে ছিল রাজা
সায়ন্তন ঠাকুর
এডওয়ার্ড জেমস করবেট, নামটি উচ্চারণ করা মাত্রই মনে ভেসে ওঠে আলোছায়ায় গড়া ঝুম-অরণ্য, হিংস্র নরখাদক শ্বাপদ আর একজন সুঠাম চেহারার বিদেশি মানুষ, পরনে খাঁকি পাৎলুন আর জামা, মাথায় শোলার হ্যাট, পায়ে রাবার সোলের জুতো, হাতে প্রিয় রিগবি বোল্ট অ্যাকশন রাইফেল, পায়ে হেঁটে যিনি শিকার করেছেন প্রায় তেত্রিশটি নরখাদক বাঘ ও লেপার্ড, হিংস্র ও চতুর নরখাদক শ্বাপদের আতঙ্ক থেকে মায়ের মমতায় প্রায় নিঃস্ব, দরিদ্র, সহায় সম্বলহীন গাড়োয়াল হিমালয়ের গ্রামবাসীকে রক্ষা করেছেন।
এই বিচিত্র মানুষটিকে নিয়ে লেখা হয়েছে বহু প্রবন্ধ, স্মৃতিকথা, রয়েছে তাঁর নিজের সরস ভঙ্গিমায় লেখা সুবিখ্যাত সব শিকার কাহিনি, ‘এক যে ছিল রাজা’ সেইসব কোনো পথেই এগোয়নি, এই গ্রন্থে লেখক জিম করবেটের অতিখ্যাত কিছু কাহিনিকে পুরাতন দিনের মজলিশি ভঙ্গিমায় বলে চলেছেন, সঙ্গে অবধারিতভাবে এসেছেন স্বয়ং করবেট, তাঁর জীবনের নানা জানা-অজানা অনুষঙ্গ। বইটি পড়ার সময় পাঠকের মনে হবে, তিনি যেন প্রত্যক্ষদর্শী কোনো কথকের মুখ থেকে শিকার কাহিনিগুলি শুনছেন অথবা রুপালি পর্দায় চলচ্চিত্র দেখছেন!
ইতিপূর্বে বাংলা চলচ্চিত্রে পুনর্নিমাণ হয়েছে অনেকবার কিন্তু সাহিত্যে এবং জিম করবেটের ভুবনবিখ্যাত কাহিনিগুলির পুনর্নিমাণ বাংলা ভাষায় প্রথমবার গ্রন্থিত হল। শুধুমাত্র কাহিনিই নয়, এই গ্রন্থ এডওয়ার্ড জেমস করবেটকেও নতুন আলোয় চিনতে শেখাবে, তিনি তো শুধু খ্যাতনামা শিকারিই নন, প্রকৃতির সন্তান, অরণ্য সংরক্ষণের প্রতিষ্ঠাতা এবং সর্বোপরি বন্যপ্রাণীদের চিরসখা। সেদিক থেকে ‘এক যে ছিল রাজা’ আক্ষরিক অর্থেই এক রাজার গল্প! সেই রাজার নাম জিম, জিম করবেট!
প্রবেশ করুন বা রেজিস্টার করুনআপনার প্রশ্ন পাঠানোর জন্য
কেউ এখনো কোন প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেননি