যদি বলি চলচ্চিত্রবিদ তবে সঞ্জয় মুখোপাধ্যায়কে পুরোপুরি চেনা যাবে না। সাহিত্য থেকে চিত্রকলা, সংগীত, নাটক বা সময় যা নিয়েই তিনি লিখুন তা ধারণ করে চিন্তার কারুকাজ। প্রায় পঁয়তাল্লিশ বছর ধরে তিনি আমাদের সাংস্কৃতিক আধুনিকতাকে নানা স্বরে নানা স্তরে আবিষ্কার করতে চেয়েছেন। সেই
অভিযানে তাঁর সঙ্গী থেকেছে ভাষার সৌন্দর্য। বাংলা ভাষায় চলচ্চিত্রস্রষ্টা জঁ-লুক গোদারের সম্পূর্ণ চিত্রনাট্য তিনিই প্রথম অনুবাদ করেছিলেন ১৯৭৪ সালে। এই অনুবাদটিতেও তাঁর বুড়ো আঙুলের ছাপ যথারীতি বহাল রয়েছে।
"চেয়েছিলাম সালংকারা রূপসী। দেখলাম মৃতা রমণীর ঠোঁটের কোণে জ্যান্ত হাসির টুকরো। জড়ের পৃথিবীতে যে ভয়, পণ্যের পৃথিবীতে যে আতঙ্ক তা থেকে মুক্তির আকাঙ্ক্ষায় গোদার আর প্রতিচ্ছায়া চান না। রাগের টুকরো, কান্নার স্তূপ আর চলমান মশকরার বিচ্ছুরণে আমরা অবাক হয়ে তাকিয়ে থাকি। সিনেমা যে কীভাবে দর্শনের বিকল্প হয়ে উঠল! মৃত সৈনিকের হাতের ঘড়ির মতো আজও, পঞ্চাশ বছর পরেও সেই 'দুটো বা তিনটে জিনিস যা আমি তার বিষয়ে জানি' কলকাতা শহরেই হয়তো সবচেয়ে জরুরি প্রসঙ্গ।"
প্রবেশ করুন বা রেজিস্টার করুনআপনার প্রশ্ন পাঠানোর জন্য
কেউ এখনো কোন প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেননি