চেঙ্গিজ খান
ভাসিলি ইয়ান
অনুবাদ – অরুণ সোম
পরিমার্জিত ও সটীক সংস্করণ
প্রচ্ছদ – উজ্জ্বল ঘোষ
আজ থেকে অর্ধশতকেরও বেশি আগেকার কথা: তরুণ সাংবাদিক, ইতিহাসবিদ, প্রাচ্য ভাষাবিশারদ ভাসিলি ইয়ান (ইয়াচেভেৎস্কি) পারস্যের দেশি লুৎ-‘ভয়াল মরু’ নামে পরিচিত সুবিশাল লবণাক্ত মরুভূমি পর্যটন করেন। ঐতিহাসিক উপন্যাসের ভাবী লেখক পল্লি ও নগরের অসংখ্য ধ্বংসাবশেষ দেখে বিস্মিত হন। এইসব পল্লিতে ও নগরে একটি অধিবাসীরও সাক্ষাৎ মেলে না। কেবল ক্বচিৎ চোখে পড়ে আরব আর বেলুচদের বিচরণভূমি, বাদুড়ের ডানার মতো ছড়ানো কালো পশমের তাঁবু।…
এক সন্ধ্যায় পথবিরতির সময় শ্বেতশ্মশ্রুধারী এক রাখাল ধ্বংসস্তূপের কারণ বর্ণনা প্রসঙ্গে বিষণ্ণমনে মুসাফিরকে বলল, “ভেবো না ফিরিঙ্গি যে আমাদের জায়গাটা বরাবরই এমন ফাঁকা আর এরকম দুর্দশার মধ্যে ছিল। আমাদের দেশ এককালে ধনী ছিল, লোকজনে গমগম করত। বেজায় লোভী বিজয়ীরা দলে দলে এই ভূমির ওপর দিয়ে গেছে, নিরীহ রাখাল আর চাষিদের খুন করে রক্তবন্যায় সমস্ত ডুবিয়ে দিয়ে গেছে। জমি প্রচুর রক্ত শুষেছে, তারপর শোকে, আতঙ্কে কুঁকড়ে গেছে, শুকিয়ে গেছে। বিধবা আর শিশুদের চোখের জলে জমিতে নোনা ধরেছে।… এখান দিয়ে গেছে দিগ্বিজয়ী ইস্কান্দার, ‘দুনিয়া-কাঁপানো’ ভয়ংকর চেঙ্গিজ়, বাবর, নাদির শাহ আর তৈমুর লঙের দলবল।… এই প্রান্তর ভেদ করে গেছে এক বিশাল পথ-শোক-দুঃখ আর চোখের জলে ভেজা পথ।…”
প্রবেশ করুন বা রেজিস্টার করুনআপনার প্রশ্ন পাঠানোর জন্য
কেউ এখনো কোন প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেননি