জ্ঞাতজনের অজ্ঞাতবাস
অম্লানকুসুম ঘোষ
নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর জীবন ও বীরত্বগাথা বাংলার ঘরে ঘরে আজ যেন প্রাচীন লোকগাথার মতো বহুশ্রুত। সাত দশকের এতটা পথ হেঁটে সে কাহিনি কোথাও বর্ণময় আবার কোথাও মিথ্যার অবগুণ্ঠনে বিবর্ণ; কুৎসিত হয়ে পড়েছে। ইতিহাস আর জনশ্রুতির প্রেক্ষায় অনেক উপন্যাস লেখা হয়েছে ভারতপথিকের দুর্জয় কর্মকাণ্ড নিয়ে। কখনও তা পাঠকের সমাদর পেয়েছে। আবার অনেক অসাধু অভিসন্ধি নিশ্চিহ্ন হয়েছে মানুষের ধিক্কারে। কিছু সত্যান্বেষী গবেষকের নিরলস চেষ্টায় নেতাজির লৌকিক জীবনের অনেক অজানা তথ্য; অচেনা সত্য আজ আমজনতার দরবারে। শাশ্বত ভারতের অমোঘ বাণী নিপীড়িত বিশ্বমানবকে শোনাতে বিশ্বকবির দেশনায়কের জীবনের দ্বিতীয় অধ্যায় আজও অসূর্যস্পশ্যা। সে অধ্যায় আধ্যাত্মলোকের দ্যুতিতে গৈরিক। জীবলোক থেকে অমৃতলোকের উত্তরণের দিনলিপি এই উপন্যাস- 'জ্ঞাতজনের অজ্ঞাতবাস'। উত্তর ভারতের বিভিন্ন গোপন আস্তানায় তাঁর দীর্ঘ তিন দশকের সাধন জীবন আর এই প্রজন্মের কিছু দামাল তরুণ-তরুণীর অসামান্য আত্মত্যাগের রোমাঞ্চগাথা। ----লিখছেন অম্লানকুসুম ঘোষ।
লেখক পরিচিতি :
ভারতের স্বাধীনতা যুদ্ধ আর বাংলাদেশ গড়ার দুর্জয় প্রতিঘাতে বসিরহাটের ঘোষ বাড়ি তখন মর্মরিত। স্বদেশী যজ্ঞে দীক্ষিত মহাপ্রাণদের নিত্য আনাগোনা। নতুনের স্বপ্ন। ভারতপথিক সুভাষচন্দ্রের ভাবনায় বিভোর পারিবারিক পরিমণ্ডল।
অম্লানকুসুম নিতান্ত বালক বেলাতেই জড়িয়ে পড়েন সুভাষ মনন সন্ধানে। দীর্ঘদিনের পথচলা পথিক আজও অক্লান্ত। মননে চির চঞ্চল।
শৈশবে সুভাষবাদী ছাত্রআন্দোলন। সুন্দরবনের জলা জঙ্গল মরিচঝাপিতে নিরন্ন ছিন্নমূল মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে রাষ্ট্রব্যবস্থা আর দলদাসদের রক্ত চক্ষুর আস্ফালনের শিকার হন।
অম্লানকুসুমের চার দশকের দীর্ঘ দিল্লি প্রবাসে, ভারতপথিক সংগঠনের মাধ্যমে সুভাষমনন নিরবিচ্ছিন্ন নিরন্তর প্রবাহিত হয়। সম্প্রতি তার পরিচালনায় 'সন্ন্যাসী দেশনায়ক' চলচ্চিত্র মুক্তি পেয়েছে দেশব্যাপী। নেতাজি গবেষণায় তিনি নিরলসভাবে তিন দশক ব্যাপী বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় প্রতিবেদন লিখে এবং সভা সমিতির মাধ্যমে প্রজন্মকে সজাগ রেখেছেন।
অম্লানকুসুম ঘোষ একাধারে চলচ্চিত্র নির্মাণ, সাহিত্য রচনা এবং ভাস্কর্য সাধনায় সমাহিত।
প্রবেশ করুন বা রেজিস্টার করুনআপনার প্রশ্ন পাঠানোর জন্য
কেউ এখনো কোন প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেননি