হাজার বছরের বাংলা সংগীতের ইতিহাস
সুদীপ্ত সাধুখাঁ
ভাষানির্ভর একটি জাতির উৎপত্তি ও তার কৃষ্টির বিবর্তনের ইতিহাসে সংগীতের ভূমিকা অপরিসীম।বাংলা ও বাঙালির ইতিহাস অনুসন্ধান করতে হলে এই সত্যকে বিস্মৃত হলে চলে না।যে সময় থেকে বাঙালির জাতিসত্ত্বা রাজনৈতিকভাবে পুঞ্জীভূত হতে শুরু করেছিল সেইসময় থেকেই আদি বাংলা সংগীতের চর্চাও শুরু হয়েছিল। সেইযে চর্যাগান থেকে পথচলা শুরু, তা নানা বাঁকে বিবর্তিত হয়ে আজকের রক, ব্যান্ড, ফোকো মর্ডানসংগীতে এসে পৌঁছেছে। আর চলার বাঁকে তা কখনো পদাবলী, কখনো মঙ্গলগীতি, বৈঠকীগান, লোকসংগীত, দেশাত্মবোধকসংগীত, গণসংগীত বা কখনো আধুনিক গান ইত্যাদি রূপলাভ করেছে।
বাংলা সংগীতের এই রূপান্তরের পিছনে বাংলার আবহমান আর্থ-সামাজিক, রাজনৈতিক ঘটনাপ্রবাহ দারুণভাবে প্রভাব ফেলেছে।যেমন স্বদেশী যুগে বিদেশী বিতাড়ন এবং জাতীয় চেতনার বিস্তারের প্রয়োজনে সৃষ্টি হয় দেশাত্মবোধক সংগীতের।আবার চল্লিশের দশক থেকে গণআন্দোলনের যে জোয়ার এসেছিল তার সাথে বামপন্থী জনজাগরণকে সংযুক্ত করতে তৈরি হয়েছিল গণসংগীতের।এভাবেই কিভাবে নব্বই-এর দশক থেকে বিশ্বায়িত বাঙালি পপ, রক, ব্যান্ডের আদলে সংগীতের মূর্ছনায় ধরা দিয়েছিল- এসবই গবেষণার নিরিখে তুলে ধরা হয়েছে ‘হাজার বছরের বাংলা সংগীতের ইতিহাস’ গ্রন্থে।কল্যানী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসের স্নাতকস্তরের এই বই সাধারণ পাঠকদেরও ভালো লাগবে।বইটির পাঁচটি অধ্যায়ের আলোচনায় উঠে এসেছে বাংলা সঙ্গীতে রঊষাপর্ব, ব্রিটিশযুগের বাংলা সংগীতের কথা, বাংলা যন্ত্রসংগীত ও সংগীতশিল্পীদের কথা, বাংলা লোকসংগীত এবং আধুনিক সময়ের গানের ইতিহাস।
সুদীপ্ত সাধুখাঁ :
লেখক সুদীপ্ত সাধুখাঁর দীর্ঘ অর্ধদশকের চর্চা ও অধ্যবসায়ের সুনিপুণপ্রকাশ ঘটেছে এই গ্রন্থের মাধ্যমে।প্রসঙ্গক্রমে তিনি কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের দীর্ঘদিন এই বিষয়টিকে পরিবেশন করেছেন। গ্রন্থটির প্রাক-কথন লিখেছেন কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক অলক কুমার ঘোষ মহাশয়।সম্পূর্ণ নতুন আঙ্গিকে লেখা হাজার বছরের বাংলা সঙ্গীতের ইতিহাস গ্রন্থটি ছাত্র, পাঠক, গবেষকমহলে সমাদৃত হবে, আশাবাদী।
প্রবেশ করুন বা রেজিস্টার করুনআপনার প্রশ্ন পাঠানোর জন্য
কেউ এখনো কোন প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেননি
Boier Haat™ | © All rights reserved 2024.