আমরা ও আমাদের ধর্ম
অতীন দাস
ভারতীয় সমাজ সহ সারা বিশ্বে ধর্মই আজ মানুষের জীবনকে নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করছে। শিল্প-সভ্যতার সময়ে ধর্মকে রাষ্ট্র থেকে পৃথক করার যে প্রয়াস শুরু হয়েছিল, তা আজ অনেকটাই পিছু হটছে। এই জন্যই তুলসীতলায় প্রদীপ জ্বালানো বা মসজিদ, গির্জায় গিয়ে প্রার্থনা আজ মানুষের ব্যক্তিপরিসর অতিক্রম করে তার সামাজিক কাজে হস্তক্ষেপ করছে। কোথাও কয়েক হাজার বছরের পুরোনো ইতিহাসকে সাক্ষী রেখে গণহত্যার সপক্ষে যুক্তি খোঁজার প্রয়াস নেওয়া হচ্ছে, কোথাও বা চলছে কল্পনাকে ইতিহাস বলে, আপন রঙের মাধুরি মিশিয়ে, এক কল্প জগতের মায়াবী নেশায় আপামর মানুষকে আচ্ছন্ন করে রাখার সচেতন প্রয়াস। এই প্রেক্ষিতেই বর্তমান বইটি ঐতিহাসিকভাবে বিশ্লেষণ করেছে মানবসমাজে ধর্মের ইতিহাস। বহু লক্ষ বছরের পৃথিবীতে আধুনিক মানুষের আগমন এক নবীন ঘটনা। যে ধর্ম অচেনা পৃথিবীতে একসময়ে মানুষের বাঁচার রসদ ও অবলম্বন ছিল, আজ তার গতি-প্রকৃতি গেছে পাল্টে। মৌলবাদীদের চোখ-রাঙানিতে সভ্যতার ইতিহাসের চাকা উল্টোদিকে ঘুরিয়ে দেওয়ার প্রয়াস এই ভূমণ্ডলকে করে তুলেছে বিপন্ন। ধর্মের ইতিহাসের এই পর্যায়গুলিকে অসংখ্য ছবি ও তথ্য সহযোগে ছয়টি অধ্যায়ে বিশ্লেষণ করা হয়েছে এই বইতে। এই বই বিনীতভাবে বলতে চায়: “হে ধর্মরাজ, ধর্মবিকার নাশি / ধর্মমূঢ়জনেরে বাঁচাও আসি। / যে পূজার বেদি রক্তে গিয়েছে ভেসে / ভাঙো ভাঙো, আজি ভাঙো তারে নিঃশেষে —/ ধর্মকারার প্রাচীরে বজ্র হানো, /এ অভাগা দেশে জ্ঞানের আলোক আনো।”
প্রবেশ করুন বা রেজিস্টার করুনআপনার প্রশ্ন পাঠানোর জন্য
কেউ এখনো কোন প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেননি