হে অনন্ত নক্ষত্রবীথি
চিন্ময় গুহ
‘পর্দা জুড়ে অন্ধকার। পৃথিবী একদিন তমিস্রার মতো হয়ে যায়! তারপর পাথরের গা বেয়ে জলকল্লোলের শব্দ।’ পূর্ববর্তী ‘ঘুমের দরজা ঠেলে’ গ্রন্থের সঙ্গে এর সুরের মিল, যদিও এটি একটি স্বতন্ত্র বই। এখানে সাহিত্য ও চলচ্চিত্রের স্নায়ুশিরার সঙ্গে মিশে যাচ্ছে ছবি। লেখক অক্ষররেখা দিয়ে এইসব বিচিত্র অনুরণনকে ছুঁতে চেয়েছেন। এক আলো-আঁধারির মধ্যে হাঁটতে হাঁটতে আমরা কখনও হঠাৎ দেখছি মঁতেন, এমিল জোলা, কাফকা বা টোমাস মানকে, কখনও চলচ্চিত্রকার বার্গম্যান, আন্তোনিওনি, আল্যাঁ রেনে বা এরিক রোমেরকে, কখনও চিত্রশিল্পী গোইয়া, দ্যগা, মাতিস বা পিকাসোকে, কিংবা অমিয় চক্রবর্তী, রবীন্দ্রকুমার দাশগুপ্ত বা স্বয়ং রবীন্দ্রনাথকে। আলফ্রেদ দ্ৰেফ্যুস নামে এক সৈনিক বা এক অজানা কথাশিল্পী দিবাকর ভট্টাচার্যকে। কীট্স দিয়ে এই অভিযাত্রার শুরু, র্যাঁবো দিয়ে শেষ। যেন একটি আয়নার মধ্যে আমরা তাঁদের সঙ্গে একা। এ কি শুধুই গদ্য, না ঘুমের অনন্ত অন্ধকারকে আলোড়িত করা এক মহাকবিতা! প্রবন্ধের সীমাকে অতিক্রম করে এই অভিনব অন্বেষণ উন্মুক্ত করে দেয় এক অনন্ত নক্ষত্রবীথি।
প্রবেশ করুন বা রেজিস্টার করুনআপনার প্রশ্ন পাঠানোর জন্য
কেউ এখনো কোন প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেননি