হে ঈশ্বর
(উপন্যাস, কবিতা, নাটক)
কমল চক্রবর্তী
সম্পাদনা - মোস্তাক আহমেদ
লেখক কমল চক্রবর্তীর জীবনে বিদ্যাসাগরের প্রভাব ঠিক কেমন ছিল, তা তাঁর যাপন দেখলেই টের পাওয়া যায়। তিনি গর্বভরে প্রকাশ করতেন বিদ্যাসাগরের প্রতি তাঁর মুগ্ধতার কথা, অনুসরণের কথা। আপাত নাস্তিকতার আড়ালে ছিল বিদ্যাসাগরকে ঈশ্বরজ্ঞানে গ্রহণ। বৃক্ষ আর বিদ্যাসাগর- এই দুই মিলে তৈরি হয়েছিল তাঁর আস্তিকতার নিজস্ব ভুবন। সেসবের প্রচারকও তিনি।
শুধু বঙ্গজীবন নয়, ভারতের জন্য বিদ্যাসাগরের আবির্ভাব। তিনি ছিলেন অতি ভয়ানকভাবে সৎ, একনিষ্ঠ, নিবেদিত। এই 'ভুবন' ছিল তাঁর, সেবাগ্রাম, শ্রমকেন্দ্র!
গ্রন্থের প্রথম অংশে আছে একটি গদ্য। অপ্রকাশিত। এরপর 'হে ঈশ্বর' উপন্যাস। তারপর ৪৪টি কবিতা। শেষে নাটক 'ঈশ্বর'। কমল চক্রবর্তীর লেখা আপাত শৃঙ্খলাহীন মনে হলেও আদপে সেগুলি সুস্পষ্ট অভিপ্রেত ও সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনার ফসল। ভেতরে তো জারিত বিদ্যাসাগর! তাঁর লেখা পড়তে গেলে পাঠককে একটা প্রস্তুতির মধ্য দিয়ে যেতে হয়। তাঁর লেখায় বিদ্যাসাগর তাই চেনা হয়েও অচেনা, অনিবার্য প্রেরণা।
প্রবেশ করুন বা রেজিস্টার করুনআপনার প্রশ্ন পাঠানোর জন্য
কেউ এখনো কোন প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেননি