হেমিসের ফকির
মৌসুমী ভৌমিক
হেমিস মঠ… গোপন কুঠুরিতে লুকিয়ে রাখা রয়েছে বিধ্বস্ত, মৃতপ্রায় ইশা’কে। যোদ্ধা সন্ন্যাসীদের দল জেরুজালেম থেকে সমুদ্রপথে আফগানিস্তান হয়ে ইশা এবং মেরি ম্যাগডালিন’কে কড়া পাহারায় পৌঁছে দেয় হেমিসের বৌদ্ধ বিহারে। তত্ত্বাবধানে থাকেন ইশা’র কিশোরবয়সে ভারতে বৌদ্ধ ধর্ম শিক্ষাগ্রহণের সময়কার শিক্ষক ড্রুকপা স্যাংপো। অন্যদিকে তৃণা, যে ইনভেস্টিগেটিভ জার্নালিস্ট, ডিব্রুগড়ে এসে পৌঁছয় ব্রহ্মপুত্র উপত্যকা জুড়ে অবৈধ বালি চুরি, চরবাসীদের অনিশ্চিত জীবনযাপন, চোরাচালান এবং জঙ্গিদের খবর করতে। কিন্তু সরাসরি জড়িয়ে যায় প্রজেক্টের সঙ্গে- সঙ্গী প্রফেসর পিনাকী এবং থেকচেন; এঁরা দুজনেই এনভায়রনমেন্ট-হেল্থ-সেফটি ডিপার্টমেন্টের প্রফেসর। এই উপন্যাসে, সুদূর অতীত এবং বর্তমান হেঁটেছে পাশাপাশি, ঠিক যেভাবে এক অপরাধচক্রের অন্ধকার গলি-ঘুঁজির জটিল ধাঁধার মধ্যেই আলো এসে পড়েছে, জীবন দর্শন, মানবিক ব্যক্তিগত অনুভূতির। চুরি যাওয়া পুথি এবং প্রাচীন মূর্তিই যেন এই কলুষিত সময়ের হারিয়ে যাওয়া সুকুমার জীবন বোধ। তাকে কি খুঁজে পাবে তৃণা?
প্রবেশ করুন বা রেজিস্টার করুনআপনার প্রশ্ন পাঠানোর জন্য
কেউ এখনো কোন প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেননি