অভিষেক চট্টোপাধ্যায়ের নতুন উপন্যাস "হৃদয় গহণ"।
তিরিশের কোঠায় পা রাখতে না রাখতেই বুড়িয়ে গেছে শবরী। সোজা হয়ে চলতে গেলে পেটে টান ধরে। দরজা খোলার শব্দ হলে ভয়ে খাটের নীচে সেঁধিয়ে যায়। ওর মেয়েটাকে ওরা আবার কেড়ে নিয়ে যাবে। রক্তে ভেসে যাবে সুখের উঠোন। 'কিচ্ছু হবে না। আমি তো আছি' বলে বরাবরের মতো পাশে থাকে শুধু একজনই। বিভীষিকাময় জীবনে শবরীর একমাত্র শান্তির জল অনিন্দ্য। যাকে দেখলে লোকে আড়ালে মুখ টিপে হাসে। ভুরু বেঁকিয়ে তাকায়। শবরীর সঙ্গে জাপটে আছে দেখেও যে ছেলেটিকে কলঙ্ক দিতে পারে না কেউ। তবু তার জীবনে কলঙ্কের শেষ নেই। লোকে বুঝতেই পারে না শবরী আর অনিন্দ্যর সম্পর্কটা আসলে কীসের! শবরীও কি বোঝে? একের পর এক যে অগ্নিদহন পেরিয়ে চলেছে শবরী তার শেষ কোথায়? আদৌ শেষ বলে কী কিছু আছে?
শৃঙ্গার, হাস্য, করুণ, রৌদ্র, অদ্ভুত, বীর, ভয়ানক, বীভৎস, শান্ত - এই নবরসের মধ্যেই খেলা করে প্রেম - বন্ধুত্ব - দাম্পত্য - স্নেহ। জীবন বয়ে চলে নদীর মত। শবরী আর অনিন্দ্যর বুকে জন্ম নেয় একটা নদী। 'হৃদয় গহন' সেই নদীরই আখ্যান। যেখানে আমি, আপনি, সবাই ভাসছি। কখন কুসুমবনে তরিটি এসে ভিড়বে সেই আশায়।
প্রচ্ছদ - আনন্দ বন্দ্যোপাধ্যায়
অক্ষর বিন্যাস - সম্বুদ্ধ সান্যাল
প্রবেশ করুন বা রেজিস্টার করুনআপনার প্রশ্ন পাঠানোর জন্য
কেউ এখনো কোন প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেননি