হিপনোটিক ক্রাইম
লেখিকা - শ্রীপর্ণা দাস ব্যানার্জী
"৮ই জুলাই ২০১৫। এ.বি.পি. আনন্দ, কলকাতা টিভি, জি নিউজ- সব টি.ভি. চ্যানেল সকাল থেকে একটাই খবর দেখিয়ে যাচ্ছে। বাইপাসের ধারে পাওয়া গেছে নৃশংস ভাবে খুন হওয়া একটা বডি। ভোর বেলা বডিটা প্রথম চোখে পড়ে একজন ট্যাক্সি ড্রাইভারের। সে-ই পুলিশে খবর দেয়। ট্যাক্সি নিয়ে সে এয়ারপোর্ট যাচ্ছিল। তখন ভোর সাড়ে চারটে হবে। সূর্যের আলো ফোটেনি তখনও ঠিক করে। ট্যাক্সি ড্রাইভার সকাল সকাল ঝোপের ধারে ট্যাক্সিটা দাঁড় করিয়েছিল তার বিশেষ দরকারে। হঠাৎ তার চোখে পড়ে ঝোপের পাশ থেকে একটা হাত বেরিয়ে আছে, ঘাবড়ে গিয়ে আর একটু ঝোপের কাছে যেতেই বডিটা দেখতে পায় সে। বডিটা রক্তে লেপটানো। ভূত দেখার মতো করে ট্যাক্সি ড্রাইভার পালিয়ে আসে ওখান থেকে, ট্যাক্সিতে বসেই ফোন করে কাছের থানায়।
খবর পেয়ে পুলিশ পৌঁছয় কিছুক্ষণের মধ্যে, ডেড বডি তুলে নিয়ে যায় ময়না তদন্তের জন্য। লোকে লোকারণ্য থাকে বাইপাস অনেকক্ষণ। অসময়েও বিশাল ট্রাফিক জ্যাম হয়ে যায়। অত ভোরেও টিভি চ্যানেল থেকে রিপোর্টার আর ক্যামেরাম্যান-রা পৌঁছে গেছে খবরের আপডেট নিতে। কোনও ভাবেই এটা গাড়ি চাপা পড়ে মৃত্যু নয়। ভারী কিছু দিয়ে অনেকবার মারা হয়েছে লোকটাকে, মাথাও ফেটেছে বিভিন্ন জায়গায়। তবে আশেপাশে কোথাও থেকে তেমন কিছু পাওয়া যায়নি। কী কারণে এই খুন তার কোনো বিবরণও পুলিশের থেকে জানা যায়নি। মৃত ব্যক্তির পরিচয় অবশ্য পাওয়া গেছে বেশ কিছুক্ষণ পর।
নাম: দেবাশিস মল্লিক, বয়স: ৩৮, পেশায় নিউরো সার্জন। বেশ সম্ভ্রান্ত বাড়ির লোক। তাঁর দাদাও কলকাতার একজন নামকরা ডাক্তার।
আপাতদৃষ্টিতে পুলিশের ধারণা এটা কোনো পেশাদার খুনির কাজ না। ওদিকে আবার লোকের মুখে মুখে ঘুরছে কোনো রুগীর বাড়ির লোকের কাজ হবে, পরিবারের কারুর সঠিক চিকিৎসা না পেয়ে হয়ত প্রতিশোধ নিয়েছে ডাক্তার মল্লিকের ওপরে।
এই কেসের দায়িত্ব এসে পড়েছে লোকাল থানার ইন্সপেক্টর রাজেন দত্তর কাছে।..."
রাজেন দত্ত কি পারবে এই খুনের কিনারা করতে?
এমনই রোমহর্ষক দুটি কাহিনি নিয়ে শ্রীপর্ণা দাস ব্যানার্জীর 'হিপনোটিক ক্রাইম'।
প্রবেশ করুন বা রেজিস্টার করুনআপনার প্রশ্ন পাঠানোর জন্য
কেউ এখনো কোন প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেননি
Boier Haat™ | © All rights reserved 2024.