জৈন রামায়ণ
ভূমিকা, সারানুবাদ ও টীকা - অন্বয় গুপ্ত
আদিকাল থেকেই রামের কাহিনি দেশের মানুষের কাছে জনপ্রিয়। পাণ্ডুলিপির আকারে বাল্মীকি তা রচনা করার আগেই।
সম্ভবত জৈন কবি বিমলসূরীর হাতেই বাল্মীকির রামায়ণ প্রথম জৈন-রামায়ণ হয়ে ওঠে। তাঁর উদ্দেশ্যই ছিল জৈন ধর্ম প্রচারের জন্য এক নতুন রামকথা লেখা। প্রচলিত বাল্মীকি রামায়ণের অনেক অংশ নিয়েই তিনি প্রশ্ন তুলেছিলেন। জৈন রামায়ণে হিংসার পরিমাণ অনেকটাই কম। কাহিনিও অনেক আলাদা। বিমলসূরীর 'পউমচরিঅম' এর পরে কবি স্বয়ম্ভূ 'পউমচরিউ' নামে জৈন রামায়ণ রচনা করেন। এই রামায়ণে পাঁচটি কাণ্ড। রাক্ষস ও বানর বংশের বিবরণ, সীতার ভাই ভামণ্ডলের আখ্যান, কল্যাণমালার কাহিনি, আসল সুগ্রীব-নকল সুগ্রীবের লড়াই, লক্ষ্মণের হাতে রাবণের মৃত্যু ইত্যাদি এই রামায়ণের অভিনব অংশ। সেই সঙ্গে রয়েছে জৈন ধর্ম ও দর্শন।
প্রবেশ করুন বা রেজিস্টার করুনআপনার প্রশ্ন পাঠানোর জন্য
কেউ এখনো কোন প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেননি