জোনাকিদের বাড়ি
স্মরণজিৎ চক্রবর্তী
একটা বাড়ি, যেখানে অনেক অনেক জোনাকি উড়ত রাতের বেলায় আর যেটাকে সবাই জোনাকিদের বাড়ি বলে জানত, সেখানে থাকত কাজু। সময়ের সঙ্গে সেই বাড়িটাই ক্রমশ হয়ে ওঠে সবার কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য। ওই বাড়ি ও তার সঙ্গের জমি ও তাতে প্রোমোটিং নিয়ে ঘনিয়ে ওঠে দ্বন্দ্ব। তাতে এসে পড়ে সমাজের নানান স্তরের মানুষ। এসে পড়ে লোভ, ঈর্ষা ও হিংসা।
এই বৃহত্তর ঘটনার সঙ্গে এই গল্প বুনে চলে ব্যক্তিগত জীবনের নক্সাও। তাতে আমরা দেখি নোঈকে। দেখি তার মনখারাপ কাটিয়ে নিজের পায়ে দাঁড়ানোর গল্প। দেখি আইকার অন্তর্দ্বন্দ্ব থেকে বেরিয়ে আসা নতুন মানুষটিকে। আমরা পাই মাহিরের দোলাচল। তার বিপন্নতা। পাই পুশকিনের একাকিত্ব ও নির্লিপ্তি। পাই ওর তাড়া করা অতীত থেকে মনে বাসা বাঁধা অনুতাপ। আমরা পাই রাধিয়ার লাজুক, নরম মনের ভেতরে লালন করা ক্ষত। আর পাই কাজু ও পেখমকে। হারিয়ে যাওয়া সময়ের হারিয়ে যাওয়া দুই মানুষকে। আর এদের সঙ্গে আমাদের সামনে আসে বিজন। আসে স্মরণ। আসে পরিতোষের মতো অনেক চরিত্র। দুই সময়ের গল্পকে সাঁকোর মতো ধরে রাখে নানান চরিত্ররা। সবার সঙ্গে সবার এক আবছা যোগাযোগে ধীরে ধীরে এক নতুন জীবনের ছবি মূর্ত হয়ে ওঠে। আর এইসব কিছুর সঙ্গে মিলেমিশে থাকে এই কলকাতা শহর। মিলেমিশে থাকে এর গ্রীষ্ম-বর্ষার গল্প। মিলেমিশে থাকে এই শহরের কষ্ট আর মনখারাপের অন্ধকারে বেঁচে থাকা জোনাকির মতো মানুষদের গল্প।
প্রবেশ করুন বা রেজিস্টার করুনআপনার প্রশ্ন পাঠানোর জন্য
কেউ এখনো কোন প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেননি
Boier Haat™ | © All rights reserved 2024.