কাগজের নৌকা
সায়ন্তন ঠাকুর
প্রচ্ছদ – সুপ্রসন্ন কুণ্ডু
অবিনাশ, তরুণ চিকিৎসক, নব্বই সালের গোড়ার দিকে ডাক্তারি পাশ করার পর উত্তরবঙ্গের চালসার সরকারী স্বাস্থ্যকেন্দ্রে শুরু হয় তার কর্মজীবন কিন্তু বছর না ঘুরতেই এক গর্ভবর্তী মহিলার মৃত্যুকে কেন্দ্র করে নানাবিধ সমস্যায় জেরবার অবিনাশ বাধা হয় চাকরি ছেড়ে ফিরে আসতে, এর কয়েক বৎসর পর বিহারের প্রত্যন্ত কুসমি গ্রামে এক দাতব্য চিকিৎসালয়ে সহকারী চিকিৎসক রূপে যোগ দেয়সে এক বিচিত্র জীবন, প্রথমবার প্রকৃত ভারতবর্ষের সঙ্গে আলাপ হয় অবিনাশের, তবে সে চাকরিও বেশিদিন। টেকে না, পুনরায় এক অনিশ্চিত পথে শুরু হয় তার যাত্রা।
এই উপন্যাসে ঘটনাগুলি পরস্পরের সঙ্গে একই সুতোয় বাঁধা নয়, কখনও তারা এগিয়ে যায় শৈশবের দিকে, আবার কখনও কৈশোরের ইস্কুল এসে উপস্থিত হয় চালচিত্রে, গত শতাব্দীর শেষ দশকের কলকাতা শহরে এক যুবকের মনপটচিত্রে ভেসে ওঠে অচেনা মহানগরী, নির্দিষ্ট কেউ নয় বরং অসংখ্য মানুষ এই আখ্যানের কুশীলব, অবিকল যেন আমাদের জীবনস্রোত।
কখনো প্রিয়জন বিরক্ত হয়ে তাকে বলেছে, তোমার মতো হৃদয়হীন কখনও দেখিনি!কিছুই বলেনি অবিনাশ, ম্লান হেসে অপরাহ্ন বাতাসের মতো ফিরে গেছে আসন্ন সন্ধ্যার গর্ভে, মানুষজনের মুখে তার নতুন নাম হয়েছে 'পিশাচ ডাক্তার'! জ্যোৎস্না রাত্রে সেই নিঃসঙ্গ একাকী পিশাচ সাদা পাতায় লিখেছে দু চারটি অক্ষর, তারপর ওই কাগজ দিয়ে নৌকো তৈরি করে ভাসিয়ে দিয়েছে। সুরধুনীর বুকে, মহাকাল স্রোতে সাদা মেঘের মতো কোন দূর দেশে ভেসে গেছে কাগজের নৌকো !
প্রবেশ করুন বা রেজিস্টার করুনআপনার প্রশ্ন পাঠানোর জন্য
কেউ এখনো কোন প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেননি
Boier Haat™ | © All rights reserved 2024.