করেণুমতী
মহুয়া চৌধুরী
'যুদ্ধশেষে কোনো পক্ষই বিজয়ী হয় না।' প্রশ্ন নয়, এক সংশয়হীন উপলব্ধি উচ্চারিত হয়েছে মহাভারতের পটভূমিতে লেখা এই উপন্যাসে। করেণুমতীর কণ্ঠে। মহাকাব্যের অনালোকিত চরিত্র তিনি। প্রায় নাম না জানা এক পান্ডববধূ। তাঁর জীবনের অভিজ্ঞতার সঙ্গে মিলেছিল গভীর মনন আর কোমল অনুভব। আসন্ন কুরুক্ষেত্র যুদ্ধের ভয়াবহতা বুঝেছিলেন তিনি। হিংসা ও প্রতিহিংসাকে তাঁর মনে হয়েছিল হুঙ্কারময় এক নিরন্তর প্রশ্নোত্তরমালা। উচ্চকিত। বীভৎস। যা শুধু রক্তাক্ত ক্ষত বিক্ষত করে পৃথিবীকে। এ উপন্যাসে দ্রৌপদীকে দেখা হয়েছে অপ্রচলিত এক দৃষ্টিকোণ থেকে। অবমানিতা দ্রৌপদীর জ্বলন্ত প্রতিহিংসার আগুনকে সংযত করতে চেয়েছিলেন করেণুমতী। প্রতিহিংসা শেষ পর্যন্ত কোনো সমাধান নয়। যুদ্ধে বীরত্ব ও পৌরুষের যে আস্ফালন ধ্বনিত হয়, তার আড়ালে ঢাকা পড়ে যায় অগণিত নিরপরাধ মানুষের বিপন্নতা। এক সর্বগ্রাসী ক্ষয় সমাজকে বিপর্যস্ত করে। 'মানুষের জীবনে হিংসা কোনো সমাধান নয়।' - এই আর্তিতে সোচ্চার হয়েছেন করেণুমতী।
প্রবেশ করুন বা রেজিস্টার করুনআপনার প্রশ্ন পাঠানোর জন্য
কেউ এখনো কোন প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেননি
Boier Haat™ | © All rights reserved 2024.