ক্ষেত্রসমীক্ষার আলোকে ১০০ চোরের জবানবন্দি
রাধামাধব মন্ডল
সে সময় প্রায়ই আমাদের মাঠ থেকে হেমন্তের ধান চুরি যেত! বিশাল, সাধু, বকুন, টগু, কানু, মন্টু সে সব নদী পাড়ের চোরেদের দল। মূলত অভাবের আগুনেই তাদের চুরিবিদ্যা অর্জন! নদী পেরিয়ে গ্রামে গ্রামে রাতের অন্ধকারকে জয় করা সে লক্ষ্যেই তাদের পথে নামা। অন্ধকার সে পথ। আর আমাদের ছেলেবেলায় গ্রামের পুকুরের মাছ চুরি ছিল এক নিত্যদিনের ঘটনা।
চোর বেটাকে ধরা হলে নেতিয়ে থাকত শীত রোদের মতো! কিছুতেই তার গা গরম হত না! রাগ দেখা যেত না, চোখেমুখে! ডাকাতদের মতো সেইসব চোরদের তেমন হম্বিতম্বিও ছিল না। ছিল না তেমন আড়ম্বরও। পোশাকের তেমন চিত্র্যময় রূপও ছিল না। ছিল না মশাল, লাঠি আর রণপা ও। তবে সাধনা ছিল অনেক বেশি। চোরদেরও কালী ছিল কোথাও কোথাও। তবে তারা তেমন প্রচার পায়নি কোনও দিন।
তবে তাদের মধ্যে মগজেরচাষ হত বেশ জোরালো। বহুরূপের বিদ্যা, কৌশলের বিদ্যা ছিল সে কালের বাংলার চোরেদের দখলে।
শব্দহীন কৌশলের রাজত্বে তারা একদিন, গোটা বাংলার শাসনদণ্ড ধরে রেখেছিল। বাংলার গৌরবের আর গরিমার সিঁধেলচোর, ছিঁচকে চোর, বাটপারির যে এক অলিখিত জমিদারি ছিল গোটা বাংলার গ্রামে গ্রামে, সেই দেশি ছিন্তাই-এর বা লুটের বাহিনীকে নিয়েই এই বই।
প্রবেশ করুন বা রেজিস্টার করুনআপনার প্রশ্ন পাঠানোর জন্য
কেউ এখনো কোন প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেননি
Boier Haat™ | © All rights reserved 2024.