কবির সঙ্গে যুরোপে
নির্মল কুমারী মহলানবিশ
আজ থেকে সাতানব্বই-আটানব্বই বছর আগে ১৯২৬ সালে রবীন্দ্রনাথ প্রায় ছ'মাসের জন্য ঘুরোপ সফরে যান। সেই যাত্রায় তাঁর সঙ্গী ছিলেন পুত্র রথীন্দ্রনাথ তো বটেই, পাশাপাশি সে-সময়ের বিশ্বভারতীর যুগ্ম-কর্মসচিব প্রশান্তচন্দ্র মহলানবিশ ও তাঁর স্ত্রী, রবীন্দ্রনাথের পরম স্নেহের নির্মল কুমারী মহলানবিশ বা রানী মহলানবিশ। তখন না-ছিল ইমেল, না-ছিল টেলিফোনের সুযোগ-সুবিধে। এক দেশ থেকে আরেক দেশে যোগাযোগের মাধ্যমই ছিল চিঠিপত্র। তাও দেশ-বিদেশের চিঠি পৌঁছতে সময় লাগত ছ'-আড়াই সপ্তাহের কাছাকাছি। ইউরোপের বিভিন্ন দেশে রবীন্দ্রনাথের কী অসাধারণ প্রত্যক্ষদর্শী ছিলেন জনপ্রিয়তা-তা প্রশান্তচন্দ্র ও নির্মল কুমারী মহলানবিশ। ফ্যাসিবাদের অন্যতম। মুসোলিনীর সঙ্গে রবীন্দ্রনাথের প্রথম আলাপ, পরে মতানৈক্যের দরুণ সম্পর্কে ছেদ-বিদেশ থেকে এ-দেশে বিশ্বভারতী নিউজ বা বুলেটিনে প্রকাশের জন্য প্রশান্তচন্দ্র ও নির্মল কুমারী মহলানবিশ দৈনন্দিন ভ্রমণবৃত্তান্ত লিখে পাঠাতেন। বলা বাহুল্য, সে-এক অমূল্য সম্পদ। নির্মল কুমারী এ-গ্রন্থের ভূমিকাতেই জানিয়েছেন, নানা হুর্ঘটনার জেরে রবীন্দ্রনাথের জীবদ্দশায় এই গ্রন্থ প্রকাশের মুখ দেখতে পারেনি। পরে তা প্রকাশ পেলেও বহুকাল এই অমূল্য গ্রন্থটি আবারও কালের গর্ভে হারিয়ে যায়। এইবার বিচিত্রপত্র গ্রন্থন বিভাগ' থেকে নবরূপে প্রকাশিত হচ্ছে নির্মল কুমারী মহলানবিশের চিরকালীন গ্রন্থ-"কবির সঙ্গে মুরোপে'। সঙ্গে পাতায়-পাতায় রয়েছে কৃষ্প্রাপ্য সব আলোকচিত্র।
প্রবেশ করুন বা রেজিস্টার করুনআপনার প্রশ্ন পাঠানোর জন্য
কেউ এখনো কোন প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেননি