কৃত্তিবাসী কেটি থেকে চাইবাসা
লেখক : কমল চক্রবর্তী
দুটো অনিবার্য স্বর্গ। একটা ‘খালাসিটোলা’, অন্যটা ‘চাইবাসা’। একটা শহরের কেন্দ্রে দেশি মদের আগাপাশতলা। বিশাল। সেখানে কবিতা, গদ্য, ছবি, নাটক, ছায়াছবির পাঠক্রম। মানিক, ঋত্বিক থেকে কমলকুমার, শক্তি, সুনীল, দুলু, সুবিমল, ভাস্কর, সুব্রত, বুদ্ধ, শামশের, বেলাল... এক সর্বকালীন এবং পরাজাগতিক সম্মেলন। আর চাইবাসা ? অফুরান হাঁড়িয়া, মহুয়া, লাবণ্য দামিনী, টিলা। পাহাড়ি এবং খরস্রোতা । শালবনের স্বপ্ন পরিমল। পলাশ, শিমুল, মহুয়ার ক্যাবারে ! পাহাড় ও নদীর সংগম-সংগীত। চাইবাসা আসলে অমরাবতী। ইন্দ্রলোকের প্রথম দরজা। দ্বারী মেনকা ও রম্ভা ! বাংলা সাহিত্যের অমর ভুবন সেই বিভূতিভূষণের সময় থেকে শুরু। বোতলে গেলাসে ঠোক্কর লাগলে শব্দ ওঠে ‘চাইবাসা’ ‘চাইবাসা'। কারো, রোরো, কোয়েল, কোয়েনা, হু হু সারান্ডা। যেখানে রাত, দিন, সকাল, দুপুর আলাদা করা যায় না। ঘড়ির সোনালি কাঁটা দুটি সেখানে অচল। কলকাতা থেকে চাইবাসা। কাব্যভুবনের গালিচা ৷ তার উড়ন্ত সেতু গড়লেন কমল। যে পথে সংকীর্তন গেয়েছেন, একদা বাংলা বর্ণমালা। সেই অবিরত, অনাঘ্রাত, সময়ের টুকরোটাকরা ‘কৃত্তিবাসী: কেটি থেকে চাইবাসা'। হারানো দলিল।
প্রবেশ করুন বা রেজিস্টার করুনআপনার প্রশ্ন পাঠানোর জন্য
কেউ এখনো কোন প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেননি