কুবেরশাপিত
সায়ন চক্রবর্তী
এই কাহিনির সময়কাল খ্রিষ্টীয় ষষ্ঠ শতক (৫০১-৬০০ খ্রিষ্টাব্দ)। মালবরাজ যশোধর্মণের নেতৃত্বে ভারতীয় রাজারা সংঘবদ্ধ হয়ে হূণ রাজা মিহিরকুলকে পরাস্ত করেছেন। এই ঘটনার পর কেটে গিয়েছে বেশ কিছু বছর। উত্তর গোলার্ধে (সম্ভবত সাইবেরিয়া অঞ্চলে) এক বিশাল অগ্ন্যুৎপাতের ফলে উত্তর গোলার্ধ শীতল হতে শুরু করে। এই জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে দেখা দেয় শস্যসংকট। এই পরিস্থিতিতে মৎস্য দেশের মহারাজ পৌণ্ড্রাদিত্য নিজের রাজ্যকে শস্যসংকট থেকে মুক্ত করার জন্য মন্ত্রী বসন্তদেবের পরামর্শে রাজ্যের পশ্চিমে মরুভূমি পেরিয়ে চহণক্ষেত্রের রাজকুমারী সোমশুক্লার সঙ্গে তাঁর বিবাহের প্রস্তাব পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেন। চহণক্ষেত্রের রাজকুমারী সোমশুক্লা সুন্দরী, বীরাঙ্গনা এবং রাজনীতিজ্ঞ। তাঁর প্রণয়ী গান্ধার যুবরাজ উদয়। তদুপরি চহণক্ষেত্র গান্ধার এবং শালকোটের সঙ্গে ত্রিপাক্ষিক মৈত্রী চুক্তিতে আবদ্ধ। শালকোটের মহারাজ নগেন্দ্র এবং তাঁর পুত্র যুবরাজ তূরীন্দ্র হূণেদের প্রচ্ছন্ন সমর্থক এবং তূরীন্দ্র যেন-তেন-প্রকারেণ সোমশুক্লাকে বিবাহে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। ঘটনাচক্রে মৎস্য দেশের যুবরাজ যশাদিত্য যখন বুঝতে পারেন যে সোমশুক্লা ও উদয় একে অপরের প্রতি অনুরক্ত এবং মৎস্য দেশের সঙ্গে শান্তিপূর্ণভাবে বৈবাহিক সম্পর্ক স্থাপনের কোনো সম্ভাবনা নেই, তখন তিনি মহারাজ পৌণ্ড্রাদিত্যকে সে বিষয়ে অবগত করেন। তারপর? কী হবে সোমশুক্লার ভবিষ্যৎ? মৎস্য দেশের শস্যসংকট কি দূরীভূত হবে? ত্রিপাক্ষিক মৈত্রী চুক্তিরই-বা কী হবে?
প্রবেশ করুন বা রেজিস্টার করুনআপনার প্রশ্ন পাঠানোর জন্য
কেউ এখনো কোন প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেননি