মহাকব্যের দেশ ও কাল
শ্যামল দত্ত চৌধুরী
মহাকাব্যের দেশ ও কাল নিয়ে ভারতীয়দের কৌতূহলের ধারা যুগে যুগে বহমান। তা রামায়ণই হোক আর মহাভারত। কাল ভেদে বদলে যায় দেশ। মহাকাব্যের দেশ খুঁজতে বেরিয়ে ফেলে আসা সময়ের মুখোমুখি হওয়াও এক অনন্য অনুভব। বরাবর সরস লেখায় সাবলীল লেখক শ্যামল দত্তচৌধুরীর কলম। মহাকাব্যের দেশ ও কালের খোঁজেও সেই ছন্দে ছেদ পড়েনি কোনও। মহাকাব্যের দেশ-কাল খুঁজতে গিয়ে ভারতবর্ষ আসলে কোথায়, সেই প্রশ্নেরও উত্তর খোঁজেন লেখক। সময়টা সাড়ে তিন হাজার বছর আগের হলেও চরিত্রগুলি আজও কতটা প্রাসঙ্গিক তা তুলে ধরার চেষ্টা করেন। লেখকের এই বিচরণে সঙ্গী হতে পারলে তাই ঋদ্ধ হবেন পাঠক।
শ্যামল দত্ত চৌধুরী(১৯৪৫-২০২১), বাংলা সাহিত্যের আঙিনায় এক উজ্জ্বল ব্যক্তিত্বের নাম। অজস্র গল্প বিভিন্ন সময়ে প্রকাশিত হয়েছে দেশ, সানন্দা, রবিবাসরীয় আনন্দবাজার, আনন্দমেলা, সুখী গৃহকোণ-সহ বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায়। এছাড়াও উপন্যাসের ভিতর ‘দেবশিশু’, ‘মিস্টার অমিতাভ’, ‘অমিতাভ বি.এম.ই.’ এবং ‘প্রিয় অমিতাভ’ উল্লেখযোগ্য। শ্যামলবাবু মূলতঃ সরস রচনাধর্মী লেখক হিসেবে পরিচিত হলেও অন্য ধারার সাহিত্য রচনার ক্ষেত্রেও ছিলেন স্বমহিমায় ভাস্বর। আগামী আন্তর্জাতিক কলকাতা বইমেলা ২০২৪-এ 'দ্য কাফে টেবল' থেকে প্রকাশিত হবে প্রয়াত লেখকের 'মহাকব্যের দেশ ও কাল' গ্রন্থটি।
মহাকাব্যের দেশ ও কাল নিয়ে ভারতীয়দের কৌতুহলের ধারা যুগে যুগে বহমান। মহাকাব্যের পাতায় ভারতভূমি থেকে উৎসারিত ও আগতদের সুখ-দুঃখের কাহন শুনিয়েছেন এই গ্রন্থেরই দুই প্রধান চরিত্র, ব্যাসদেব আর মহাকবি বাল্মীকি।
সময়টা সাড়ে তিন হাজার বছর আগের হলেও চরিত্রগুলি আজও কতটা প্রাসঙ্গিক তা তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন লেখক শ্যামল দত্ত চৌধুরী। মহাকাব্যের দেশ-কাল খুঁজতে গিয়ে ভারতবর্ষ আসলে কোথায়, সেই প্রশ্নেরও উত্তর খোঁজেন লেখক। বরাবর সরস লেখায় সাবলীল তাঁর কলম। মহাকাব্যের দেশ ও কালের খোঁজেও সেই ছন্দে ছেদ পড়েনি কোনো বরং চরিত্রগুলির সুখ-দুঃখের সমস্ত অনুভূতি, নীচতা-ক্ষুদ্রতা-মহানুভবতাও তাই যেন বড় চেনা চেনা লাগে। আর এখানেই সফল লেখক শ্যামল দত্ত চৌধুরী। লেখকের সঙ্গে মহাকাব্যের দেশ খুঁজতে বেরিয়ে ফেলে আসা সময়ের মুখোমুখি হওয়াও পাঠকের কাছে এক অনন্য অনুভব।
'
প্রবেশ করুন বা রেজিস্টার করুনআপনার প্রশ্ন পাঠানোর জন্য
কেউ এখনো কোন প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেননি
Boier Haat™ | © All rights reserved 2024.