মনের মানুষ
সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
পৃষ্ঠা সংখ্যা : 248
সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের উপন্যাস 'মনের মানুষ'-এর প্রধান চরিত্র লালন ফকির। কবিরাজ কৃষ্ণপ্রসন্ন সেনের ঘোড়া চুরি করে রাতে মাঠে মাঠে ঘুরে বেড়াতে ভাল লাগত লালুর। দুঃখিনী মা তাকে অল্প বয়সে বিয়ে দিয়েও সংসারী করতে পারেননি। রুজি-রোজগারে লালুর মন নেই, বরং গানের ব্যাপারে তার কিছু আগ্রহ আছে। বাউন্ডুলে স্বভাবের লালুর জীবনে বিপর্যয় এল হঠাৎ। কবিরাজ-পরিবারের সঙ্গে বহরমপুরে গঙ্গাস্নানে গিয়েছিল সে। পথে আক্রান্ত হয় ভয়ংকর বসন্ত রোগে। তাকে মৃত ভেবে জলে ভাসিয়ে দেয় সঙ্গীরা। মরেনি লালু। রাবেয়ার পরিচর্যায় সুস্থ হয়ে সে একদিন ঘরেও ফেরে। কিন্তু মুসলিম-সংস্পর্শে তার যে জাত গেছে! তাকে মেনে নেয় না তার মা, বউ। অগত্যা সমাজ থেকে বিতাড়িত যুবকের নতুন জীবন শুরু হয় জঙ্গলে। নতুন নাম হয় লালন। অভিজ্ঞতা আর বেদনা লালনের অন্তরে জন্ম দেয় শত শত গান, যে গান বলে- 'ছন্নত দিলে হয় মুসলমান/নারীলোকের কী হয় বিধান/ বামন চিনি পৈতে প্রমাণ/বামনী চিনি কী রে...'। লালন বাঙালির প্রাণের ধন, পথে পথে যিনি আজীবন খুঁজেছেন 'মানুষ-রতন'।
লেখক পরিচিতি :
সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়-এর জন্ম ২১ ভাদ্র ১৩৪১ (৭সেপ্টেম্বর, ১৯৩৪) ফরিদপুর, বাংলাদেশ শিক্ষা কলকাতায়। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের এম এ। টিউশনি দিয়ে কর্মজীবনের শুরু। তারপর নানা অভিজ্ঞতা। বীমা কোম্পানিতে অফিসার্স ট্রেনি, ইউনেস্কোর বয়স্ক শিক্ষা প্রচারের কর্মী, সরকারী অফিসের করণিক, অধুনালুপ্ত একটি দৈনিক সংবাদপত্রের বিভাগীয় সম্পাদক। প্রথম রচনা শুরু কবিতা দিয়ে। 'কৃত্তিবাস' পত্রিকার প্রতিষ্ঠাতা-সম্পাদক। কবি হিসেবে যখন খ্যাতির চূড়ায়, প্রথম তখন একসময় উপন্যাস রচনা শুরু করেন। প্রথম উপন্যাস: 'আত্মপ্রকাশ'। শারদীয়া 'দেশ' পত্রিকায় প্রকাশিত। প্রথম কাব্যগ্রন্থ: 'একা এবং কয়েকজন'। ছোটদের মহলেও সমান জনপ্রিয়তা। আনন্দ পুরস্কার পেয়েছেন বহু আগে, ১৯৮৩-তে পান বঙ্কিম পুরস্কার। ১৯৮৫-তে পান সাহিত্য আকাদমি পুরস্কার। ছদ্মনাম 'নীললোহিত'। আরও দুটি ছদ্মনাম-'সনাতন পাঠক' এবং 'নীল উপাধ্যায়'। প্রয়াণ: ২৩ অক্টোবর, ২০১২।
প্রবেশ করুন বা রেজিস্টার করুনআপনার প্রশ্ন পাঠানোর জন্য
কেউ এখনো কোন প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেননি