'জৈষ্ঠ্যের দুপুর গনগনে কড়াইয়ে ওলটপালট করে সেঁকছে গাছপালা প্রকৃতিকে। ভয়ে কাঠ হয়ে আছে গ্রামের পর গ্রাম। জাহান্নামের আগুন থেকে নিজেদের সোয়াব গুনতে গুনতে প্রত্যেকটি মানুষ সেঁধিয়ে থাকতে চাইছে অন্তরঙ্গ ছায়ার ভেতর। কিন্তু কার ছায়া কোথায় কীভাবে গড়ে ওঠে তা কেউ জানে না। গাছের ছোটো পাতার নীচের ছায়ায় যেমন বড়ো পাতা স্বস্তিতে থাকে, তেমনি দুপুরে কাশিম আর ময়না মধ্যমাঠে বসে হেসে হেসে কত কথাই না বলছে। ধানের কাঁচা শিষ হাতে নিয়ে ময়না একটা একটা খুঁটছে আর নখ ভিজে যাচ্ছে সাদা দুধে, তাই সে শুষে নিচ্ছে। মৃদু মিষ্টি পেয়ে ময়নার মুখের ভাষা থেকে লাবণ্য সবই যেন মিঠে হয়ে উঠছে। এই নামহীন দুপুরে ছড়িয়ে দিচ্ছে কী যেন একটা সুবাস। কাঁচা দুধেলা ধানের, নাকি নিজের মাধুর্যের, কে জানে। কাশিম তার ঘাড়ের গামছাটা অর্ধেক নিজের মাথায় বাকি অর্ধেক ময়নার মাথায় দিয়ে ছোটো ছাদ তৈরি করেছে। তবু রোদের সুবর্ণ গামছা ভেদ করে ওদের মুখে একপাশ আলোকিত করে রেখেছে। ধান গাছের গোড়ায় জলের খেলা পোকামাকড়ের মুখ নাড়া গোল গোল চোখে দেখছিল আর দুধেলা ধান মুখে পুরছিল। দেখতে দেখতে ময়না তক্ষুনি ছড়া কেটে দিল।
এই ওয়েবসাইটের কার্যকারিতার জন্য আমরা কুকি ব্যবহার করে থাকি। এছাড়াও ওয়েবসাইটের ট্রাফিক সঙ্ক্রান্ত তথ্যের জন্য আমরা কুকির সাহায্য নিই। নিচের বটন ক্লিকের মাধ্যমে আপনি সমস্ত রকমের কুকি ব্যবহারে সম্মতি জানাচ্ছেন।