মেজেম্বা
পুষ্পেন মণ্ডল
প্রশান্ত মহাসাগরের মাঝামাঝি ছোট্ট দ্বীপ ‘কিরিবাটি’ থেকে প্রায় একশো মাইল দক্ষিণ-পশ্চিমে সামুদ্রিক তুফানের কব্লে পড়ে ডুবে যাওয়া পণ্যবাহী জাহাজের কর্মী ছিলেন অরুণ দাদু। কপাল জোরে বেঁচে গিয়ে অদ্ভুত এক ডুবন্ত ফাঁপা পাহাড়ের হদিশ পেলেন তিনি। সদুদ্রের নিচে থাকে মেজাম্বারা। সেখানে যাওয়ার সেটাই একমাত্র রাস্তা। বাজাউদের উপকথায় আছে মেজাম্বাদের কথা। তারা মানুষের মতই এক ধরণের উন্নত প্রাণী, কিন্তু থাকে সমুদ্রের গভীরে। মানুষের প্রবেশ সেখানে নিষেধ। মেজাম্বারা কি সবাই পৃথিবীর প্রাণী? নাকি অন্য জগতের বাসিন্দা? অরুণ দাদু কি পেরেছিলেন সেই রহস্যের সমাধান করতে?
চোদ্দ শতাব্দীর থাইল্যান্ডের রাজা ত্রিলোকনাথের একটা বড় হিরে বসানো বহুমূল্য ব্রেসলেট ছিল। যেটা রাজবাড়ি থেকে চুরি হয় ষোড়শ শতাব্দীর শেষ দিকে। ও-দেশের উপকথায় আছে বাহুবন্ধটি ছিল নাকি কোন অসুর বা অপদেবতার। কোন এক সময়ে লক্ষ মানুষের রক্তে লাল হয়েছিল সেই হিরে। ইংরেজরা ওটার নাম দিয়েছিল ‘দ্যা রেড আই’। শোনা যায় সে সময়ে ব্রিটেনের রানি সেই পাথরটা হাতে পাওয়ার জন্য আহারনিদ্রা ত্যাগ করেছিলেন। পরে ব্রেসলেটটি এক কুখ্যাত জলদস্যু ‘দ্যা কিং অফ র্যা ন্টার বে’ অর্থাৎ জেমস প্ল্যান্টেনের কাছে চলে যায়। ইংরেজরা তাকে ধরার জন্য হুলিয়া জারি করে সারা পৃথিবী জুড়ে। কিন্তু কিছুতেই ধরা যায়নি তাকে। তারপর থেকে এখনও সেটাকে আর কেউ খুঁজে পায়নি। কোথায় গেল সেই ‘জলদস্যুর রক্তচক্ষু’?
ভারতের দক্ষিণ প্রান্তে সমুদ্রের তীরে এক পরিত্যক্ত বাড়ি “গৌরি ভিটিল”। শোনা যায় ওখানে এক ডাকাত দলের সর্দার সাঙ্গপাঙ্গ নিয়ে থাকত অনেক বছর আগে। তারা ডাকাতি করত দূরে গিয়ে। আর গ্রামের এক মহাজনের কাছে বিক্রি করত চুরি করা মাল। মাঝে অনেকদিন তারা না আসায় মহাজন দু’জন লেঠেলকে পাঠিয়েছিলেন ঐ বাড়িতে খোঁজ নিতে। কিন্তু তারা ফিরে এসে কাঁপতে কাঁপতে বলল, জনাকুড়ি লোকের পচাগলা মৃতদেহ ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে আছে গোটা বাড়ি জুড়ে। কারও হাত নেই, কারও পা নেই, আর কারও মুণ্ডু নেই। তারপর থেকে গ্রামের লোক ও-পথ মাড়ায় না। বাড়িটার আসেপাশে গেলে এখনও পাওয়া যায় বিচ্ছিরী পচা গন্ধ। সম্প্রতি ব্যাঙ্গালোর বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশিষ্ট প্রাণীবিজ্ঞানী প্রফেসার ডঃ অনুপ বাগচী নিখোঁজ হলেন সেখানে। “গৌরি ভিটিলের অদ্ভুত গন্ধ” রহস্যের কিনারা কি করতে পারবে সৌম্যদা?
অ্যাডভেঞ্চার ও রহস্যে ঘেরা তিনটি উপন্যাসিকা নিয়ে এ বই।
প্রবেশ করুন বা রেজিস্টার করুনআপনার প্রশ্ন পাঠানোর জন্য
কেউ এখনো কোন প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেননি