মনে যে জোনাক জ্বলে
জয়ন্ত দে
পাগলাবাড়ি। কেউ কেউ বলে মালবাড়ি। এ বাড়িতে পাগল অনেক আর মাল একটা। এ এলাকার 'টপ' বনলতা। সেখানেই হাজির সতীশচন্দ্র মজুমদার। তিনি একাই একটা এনজিও। দুস্থ বিধবা উদ্ধার করেন। কিন্তু ইদানীং তিনি ঘেউ ঘেউ করছেন। ঘুষপেটিয়া! উইপোকা!
এছাড়া আছেন, গৌরকিশোর। তাঁর ফেলে আসা শিল্প-জীবন।
সেঁজুতি-হৃষিকেশ-মাল্যবান উড়ে যাচ্ছে সিনেমাপাড়ার অন্দরে। বনলতার ভালোবাসা জুনেদ জোনাক। জুটেছেন মধুসূদন রায়। আগে পায়ের সুরক্ষা দিতেন, এখন মাথার। ভয় পেয়েছেন তিনি, একাত্তরে সুভাষ কলোনিতে রিফিউজি মানে উদ্বাস্তু হয়ে বাপ মায়ের সঙ্গে এসে উঠেছিলেন। বড় হয়ে উঠলেন রিফিউজি আর উদ্বাস্তু কথাটা শুনতে শুনতে। এখন শুনছে 'রিফিউজি' বা উদ্বাস্তু বলে ভারতীয় সংবিধানে তাদের জন্য আলাদা কোনো জায়গা নেই।
আসলে এই উপন্যাসটা ভয়ে ভয়ের, আতঙ্কের। ভূতের নয়, রাষ্ট্র আর নোংরা রাজনীতির। যদি দেশ হারাতে হয় সেই আশঙ্কার কালো মেঘ আর অশনির। ভালোবাসা আর লড়াইয়ের।
প্রবেশ করুন বা রেজিস্টার করুনআপনার প্রশ্ন পাঠানোর জন্য
কেউ এখনো কোন প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেননি
Boier Haat™ | © All rights reserved 2024.