মঙ্গলবারের ভাত ঘুম ও অন্যান্য গল্প
গ্যাব্রিয়েল গার্সিয়া মার্কেজ
অনুবাদ: সোনালী ঘোষাল
জাদুবাস্তবতার লেখক— এভাবেই আমরা শনাক্ত করি গ্যাব্রিয়েল গার্সিয়া মার্কেজকে; যদিও মার্কেজের আগে থেকেই জাদুবাস্তবতা সাহিত্যের একটি শক্তিশালী ধারা হিসেবে দেখা দেয় লাতিন আমেরিকায় এবং হুয়ান রুলফো ও কার্লোস ফুয়েন্তেস প্রমুখের সাহিত্য উর্বর করে তোলে সে-ধারাকে। কিন্তু এ-ও অনস্বীকার্য, জাদুবাস্তবতাকে উৎকর্ষতার চরম শিখরে নিয়ে যান মার্কেজ এবং এক্ষেত্রে লাতিন আমেরিকার আর্থ-সামাজিক-রাজনৈতিক অবস্থাও ভূমিকা রাখে। মার্কেজের সমসময়ে ও পরেও অনেকে তাঁদের সাহিত্যচর্চায় জাদুবাস্তবতাকে অবলম্বন করেছেন, এক্ষেত্রে অনায়াসেই মনে করা যেতে পারে ইসাবেল আয়েন্দে কিংবা বেন ওকরির কথা। হলুদকে ভালোবাসতেন মার্কেজ, প্রিয় ছিল হলুদ প্রজাপতি, মনে করতেন এটি তাঁর ভাগ্যরং- তাঁর ঘরে তাই থাকত হলুদ ফুল। এই বিশ্বাস কিংবা কুসংস্কার, যা-ই বলা হোক না কেন, এতই তীব্র ছিল যে লিখতে বসে কলম না এগোলে তিনি হলুদ ফুল দেখে নিতেন। আর কী আশ্চর্য, সঙ্গে সঙ্গে তাঁর কলম ভাষা খুঁজে পেত। ২০১৪ এর ১৭ এপ্রিল এই হলুদ ফুল পৃথিবী থেকে হারিয়ে গেছে। মৃত্যুর মধ্যে দিয়ে মার্কেজ হয়তো হারিয়ে গেলেন আমাদের দৃশ্যজগৎ থেকে; কিন্তু তিনি নিজেই লিখেছিলেন, মৃত্যু তো বয়সের ভারে নয়- মৃত্যু আসে বিস্মরণের মধ্যে দিয়ে; তিনি কখনই বিস্মৃত হবেন না আমাদের সাহিত্য স্মৃতি থেকে।
যে দশটি গল্প নিয়ে এই সংকলন —
১। তিনজন স্বপ্নচর মানুষের পক্ষে বেদনাদায়ক
২। সন্ধ্যা ছ'টায় যে মহিলা এসেছিল
৩। নাবো (কৃষ্ণাঙ্গ মানুষটি যে দেবদূতদের অপেক্ষা করিয়েছিল)
৪। কেউ একজন গোলাপগুলি এলোমেলো করে দিয়েছে
৫। কারলিউ পাখিদের রাত
৬। মঙ্গলবারের ভাতঘুম
৭। বালথাজারের অত্যাশ্চর্য বিকাল
৮। মনতিয়েলের বিপত্নীক
৯। কৃত্রিম গোলাপগুলো
১০। ভৌতিক জাহাজের শেষযাত্রা
প্রবেশ করুন বা রেজিস্টার করুনআপনার প্রশ্ন পাঠানোর জন্য
কেউ এখনো কোন প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেননি