মুর্শিদাবাদের মন্দির মসজিদ : টেরাকোটা
সুশান্ত বিশ্বাস
প্রচ্ছদ শিল্পী - সুদীপ্ত জানা
সুপ্রাচীনকাল থেকে বাংলার সামাজিক ও অর্থনৈতিক ইতিহাসে মুর্শিদাবাদ খুবই গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চল হিসাবে স্বীকৃত ছিল। রাজা শশাঙ্কের সময়ে ও পাল যুগে প্রায় শতাব্দীকাল এবং নবাবী আমলের মুর্শিদাবাদ, সে সময়ের রাষ্ট্রব্যবস্থার কেন্দ্রস্থল ছিল। নানা বর্ণ সংস্কৃতির ঐতিহ্য বহন করছে মুর্শিদাবাদ জেলা। স্থাপত্য সৃষ্টির আদিলগ্ন থেকেই অলংকরণ শিল্প ছিল অত্যাবশ্যকীয় নান্দনিক শৈলী। ইটের তৈরি মন্দির ও মসজিদ অলংকরণের জন্য দুই রকম শিল্প আঙ্গিককে কাজে লাগানো হয়েছিল। টেরাকোটা অলংকরণ ও পঙ্খশিল্পের অলংকরণ। তবে মন্দির ও মসজিদ অলংকরণের ক্ষেত্রে টেরাকোটা শিল্প আঙ্গিককেই বেশি কাজে লাগানো হয়েছে। স্থাপত্য অলংকরণের ক্ষেত্রে টেরাকোটা একটি প্রাচীন ঐতিহ্যপূর্ণ শিল্প আঙ্গিক। শিল্পীদের কারুনৈপুণ্যে এই শিল্প এক সময় খুব জনপ্রিয় ছিল। বহু প্রাচীন মন্দির মসজিদের গায়ের সুন্দর টেরাকোটা কাজগুলো সংস্কারের অভাবে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। একদিন এই শিল্পকে আর দেখা যাবে না, সেই ভাবনা থেকেই টেরাকোটা নিয়ে কাজ। সামগ্রিকভাবে টেরাকোটা অলংকরণ বিষয়ের ব্যাপৃতি বিশাল, সেই তুলনায় মুর্শিদাবাদের পটভূমি ছোট পরিসরতো বটেই, এই ছোট পরিসরের মধ্য থেকে যতটুকু পারা গেছে তার সামগ্রিকতা তুলে ধরার চেষ্টা করা হয়েছে।
প্রবেশ করুন বা রেজিস্টার করুনআপনার প্রশ্ন পাঠানোর জন্য
কেউ এখনো কোন প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেননি