সিদ্ধার্থ দাস
নিষেধ পদাবলি
বাংলা কবিতার আবহমান স্রোতে তরী ভাসিয়েছে কবির লিখন। দর্পণ অস্পষ্ট, ছোঁয়াচে লিপির অমোঘ দর্শন। শুশ্রূষা চায় প্রতিটি চেনা সুখ। স্থির বিশ্বাস নাছোড় কীটের মতো কুরে-কুরে খায়। প্রতিটি বাঁকে দিগন্ত-আলোর হাতছানি। সূর্যাস্তের রাঙা বিভায় মিশে যায় প্রাগৈতিহাসিক রক্ত-গরল। আকাঙ্ক্ষার ভিড়! শুভেচ্ছা একান্ত অনুগত, পাড় ভাঙলে শুরু হয় ভোরের নাগরিক অনুকম্পা। কোলাহল-বাত্ময়তা-নির্জনতা অনিঃশেষ বাতাসের মতো বালিয়াড়ি আঁকে কবিতার খাতায়। বিচ্ছেদ ও সন্ধি চিরন্তন সখা। নীল আখর অভিষিক্ত হয় পাথরকুচির অঙ্কুরে। নিঃশব্দ শব্দের ভিতর কুহক ব্যাধ। আকর্ষের অভিসন্ধি দীর্ঘতম রাত্রির বুকে জেগে ওঠে; নতুন অক্ষরে আচমন। কবিতায় আলোর মণ্ডপ। কবিতাই অন্তিম স্তব। নতজানু সেই বোধিবৃক্ষের পদতলে 'নিষেধ পদাবলি'।
প্রবেশ করুন বা রেজিস্টার করুনআপনার প্রশ্ন পাঠানোর জন্য
কেউ এখনো কোন প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেননি
Boier Haat™ | © All rights reserved 2024.