বিদ্যাসাগরের মাস্টারমশাই
শক্তিসাধন মুখোপাধ্যায়
বিদ্যাসাগর বাঙালি জীবনের ইতিহাসে এমনই এক বিস্ময়কর চরিত্র যে তাঁর হয়ে ওঠার রসরহস্য আথারি-পাথারি করে খুঁজতে হয়। কোথা থেকে কী রসদ তিনি পেয়েছিলেন তা ভেদ করতে কাল ঘাম ছুটে যায়। আমরা এখানে উঁকি-ঝুঁকি দিয়েছি তাঁর ক্লাস রুমে। পাঠশালায় বা সংস্কৃত কলেজে তিনি যে মাস্টারমশাইদের কাছে পড়েছিলেন কারা তাঁরা? কেমন ছিলেন সেই মাস্টারমশাইরা- তাই নিয়ে এই বই। পাঠশালার মাস্টারমশাই যদি বিদ্যাসাগর নামক মহাহর্য্যের ভিত খুঁড়ে থাকেন, সংস্কৃত কলেজের পণ্ডিতরা মিলে পিলার গেঁথেছেন, দেয়াল তুলেছেন, ছাদ ঢালাই করেছেন। বিদ্যাসাগর নির্মাণের সেইসব বিস্মৃত রাজমিস্ত্রীদের নিয়ে এই বই। রাজ-অট্টালিকার স্বধর্মই হচ্ছে মিস্ত্রীদের ছাপিয়ে দেশে-কালে আপন গরিমা ব্যক্ত করা। বিদ্যাসাগরে তা প্রমাণিত। এখানে তাঁর নির্মাতাদের খোঁজ-খবরও রইল।
লেখক পরিচিতি :
শক্তিসাধন মুখোপাধ্যায় (১৯৫১) বাংলার গ্রন্থজগতে একটি উল্লেখযোগ্য নাম। বর্ধমানের জুতিহাটি গ্রামের মানুষ। জন্ম মামার বাড়ি পাঁচড়ায়। বাবা চণ্ডীচরণ মুখোপাধ্যায় ও মা নমিতা মুখোপাধ্যায়। ছ' ভাই বোন। পড়েছেন পরেশনাথ বিদ্যামন্দির, পাঁচড়া সাগরচন্দ্র রক্ষিত স্মৃতি বিদ্যালয়ে। একসময় থেকেছেন বর্ধমান বিজয় চতুষ্পাঠীতে। বর্ধমান রাজ কলেজ থেকে স্নাতক, বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর (১৯৭২)। ইউ.জি.সি. টীচার ফেলোশীপ নিয়ে কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচ.ডি। গবেষণা ইতালীয় রেনেসাঁসের আলোকে বাংলার রেনেসাঁস নিয়ে। ছাত্রকালেই অনন্যোপায় কর্মজীবনের শুরু হোমিওপ্যাথি ডিসপেনসারিতে কম্পাউন্ডারি দিয়ে। বাংলা সাহিত্যে অধ্যাপনা করেছেন জঙ্গীপুর কলেজ ও খিদিরপুর কলেজে। অবসরগ্রহণের পর বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদের সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন। তাঁর গবেষণা ও চর্চার বিষয় রেনেসাঁস ও ডিরোজিও। অন্তত ৩০খানি গবেষণামূলক নানা ধরনের গ্রন্থের প্রণেতা ও সম্পাদক। বিদ্যাসাগর : নতুন করে জানা অন্যভাবে চেনা, আয়সাগর ব্যয়সাগর বিদ্যাসাগর, বিদ্যাসাগরের ঠাকুমার পর বিদ্যাসাগর নিয়ে এটি তাঁর চতুর্থ গ্রন্থ।
প্রবেশ করুন বা রেজিস্টার করুনআপনার প্রশ্ন পাঠানোর জন্য
কেউ এখনো কোন প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেননি
Boier Haat™ | © All rights reserved 2024.