বাঙালি পাঠকসমাজে স্যার আর্থার কোনান ডয়েল আর শার্লক হোম্স নাম দুটি কালক্রমে সমার্থক হয়ে গেছে। ফলে কোনান ডয়েল নামটা উচ্চারণ করা মাত্রই পাঠক-পাঠিকার মানসপটে সাধারণত ঠোঁটে পাইপ ঝোলানো, বেকার স্ট্রিটের বাসিন্দা গোয়েন্দা প্রবরের ছবিটাই ভেসে ওঠে।অথচ শার্লক হোম্সের কাহিনি ছাড়াও কোনান ডয়েল সাহেব সারাজীবনে রকমারি স্বাদের উৎকৃষ্ট সাহিত্য রচনা করে গেছেন।এর মধ্যে তাঁর লেখা ছোটো গল্পগুলি বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। তার মধ্যে মাত্র হাতে গোনা কয়েকটা গল্পের বাংলায় অনুবাদ বা ভাবানুবাদ করা হয়েছে।
অধিকাংশ কাহিনির সঙ্গে গড়পড়তা বাঙালি অপরিচিত। অথচ, বিষয়বস্তুর বৈচিত্র্যে,লেখনশৈলীর গুণমানে এক-একটি গল্প এক কথায় অনবদ্য।
লেখকের নিজের বিশেষ পক্ষপাতিত্ব ছিল তাঁর লেখা ইতিহাসভিত্তিক কাহিনিগুলির ওপরে। কোনান ডয়েল এক জায়গায় মন্তব্য করেছিলেন যে তাঁর সারাজীবনের সমস্ত সাহিত্যকীর্তি যদি ধ্বংস করে ফেলার আগে যদি শুধুমাত্র একটি বিশেষ শ্রেণির কাজকে বাঁচিয়ে রাখার স্বাধীনতা যদি তাঁকে দেওয়া হয় তাহলে তিনি নিঃসন্দেহে নির্দ্বিধায় তাঁর ইতিহাস নির্ভর ছোটো গল্পগুলিকেই বেছে নেবেন।
তাঁর মন্তব্যকে সম্মান দিয়ে ভাষা সংসদ থেকে প্রকাশিত হল -
ঐতিহাসিক কাহিনি সংকলন
আর্থার কোনাল ডয়েল
অনুবাদ - শ্রীদীপ বিশ্বাস