ওরছা : স্মৃতির শহর
প্রসেনজিৎ দাশগুপ্ত
ইতিহাস এখানে থমকে দাঁড়িয়েছে। এই বিশ্বায়নের যুগেও ওরছা পাল্টায়নি একটুও।
খ্রিস্টিয় নবম শতকে চান্দেলা রাজারা হয়ে উঠেছিলেন এখানকার সর্বেসর্বা।
তাদের পতনের পর বুন্দেলারা এখানে রাজত্ব শুরু করে। বুন্দেলারাজাদের অজস্র স্থাপত্য-স্মৃতিই এই শহরের বিশেষত্ব। ওরছার স্থাপত্যের মূল আকর্ষণ হল রাজপুতশৈলীর সঙ্গে ইসলামী রীতির মিশ্রণ।
শূন্য দুর্গ, মহল, জনহীন মন্দির, স্মৃতিমেদুর সরোবর, ছত্রী, বাগান, হামাম একাকী পড়ে আছে একদা রাজধানী ওরছায়। আর এসব স্থাপত্যকীর্তির পরতে পরতে জড়িয়ে রয়েছে নর্তকী রাই প্রভীন ও রাজকুমার ইন্দ্রজিৎ সিং-এর অমর প্রেম কাহিনি।
পাঁচশো বছরের প্রাচীন ওরছায় এইসময়ের মানুষজনের মধ্যেও রয়ে গেছে সেই প্রাচীনত্বের ছাপ।
তাদের পোশাক-পরিচ্ছদ, হাবভাব, বাড়িঘরের মধ্যে তারা ধরে রেখেছে প্রাচীন ওরছাকে। ইতিহাস ছুঁয়ে থাকা ওরছার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য আর রোম্যান্টিক সম্ভ্রম শহরটিকে অন্য মাত্রা দিয়েছে।
-------------------
জুল ভের্ন তার সর্ববিখ্যাত উপন্যাস 'ডে মিল লি' 'সুলে মেয়া' বা 'টুয়েন্টি থাউজ্যান্ড লীগপ্স আন্ডার দ্য সি'-তে কেন্দ্রীয় চরিত্র ক্যাপ্টেন নিমো-র পরিচয় শেষপর্যন্ত রহস্যাবৃত রেখে দিয়েছিলেন। কিন্তু ১৮৬৯-৭০ সালে এই উপন্যাস প্রকাশিত হওয়ার বছর-চারেক পরে লেখা 'লে' আইল মিস্তেরেউজ' বা 'দ্য মিস্টিরিয়াস আইল্যান্ড' উপন্যাসে ক্যাপ্টেনের চরিত্রটি আবার ফিরিয়ে আনেন লেখক। তখন জানা যায়, ক্যাপ্টেন নিমো আসলে ভারতবর্ষের বুন্দেলখণ্ডের (ওরছা) ছদ্মবেশী রাজকুমার প্রিন্স ডাক্কার, যিনি ১৮৫৭-র মহাবিদ্রোহের পর পালিয়ে গিয়েছিলেন।
প্রবেশ করুন বা রেজিস্টার করুনআপনার প্রশ্ন পাঠানোর জন্য
কেউ এখনো কোন প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেননি
Boier Haat™ | © All rights reserved 2024.