পয়লা সেপ্টেম্বর, বান্টি ও মান্টি
সুশান্ত দত্ত
এই বইতে দুটি উপন্যাস গ্রন্থিত হয়েছে।
“পয়লা সেপ্টেম্বর”-(রহস্য উপন্যাস) -এই উপন্যাসে নায়ক অঞ্জন ও তার স্ত্রী তমালি রায়গঞ্জে থাকেন। অপর দিকে অঞ্জনের ভাই দীপেন ও তার স্ত্রী কাবেরী মালদায় থাকেন। একদিন অচেনা এক ভদ্রলোক অঞ্জন ও তমালিদের বাড়ি আসে। সে জানায় তিনি হলেন সঞ্জয় সেন ওরফে মি: সঞ্জয় জেমস, গ্যাংটকের এক খ্রিস্টান মিশনারি স্কুলের শিক্ষক। এদিকে তমালির স্কুল জীবনের বন্ধু ইন্দ্রনীলের পাল্লায় পড়ে তমালি ও তার জা কাবেরী মডেলিং-এ নামতে চায়। তমালি ও কাবেরী বিপথে পরিচালিত হয়। একসময় মি: জেমসকে খুন হতে হয় এক পয়লা সেপ্টেম্বর। কিন্তু কেন? খুনিইবা কে? তারই আখ্যান এই কাহিনী।
"বান্টি ও মান্টি"-(লোককথা ভিত্তিক উপন্যাস)- এই উপন্যাসে বান্টি ও তার ঠাকুরমা স্নেহলতা বাস করেন মাধবপুর গ্রামে। বান্টি যখন খুব ছোট তখন একটা খারাপ ডাইনি বান্টির বাবা-মাকে হত্যা করে। বান্টির পানবরজ আছে। বান্টির পাড়ার বান্ধবী মান্টিও পানবরজের কাজে বান্টিকে সাহায্য করে। পাশের ভাগলপুর গ্রামের তারাপদবাবু তার মেয়ে রমলার সাথে বান্টির বিয়ে দিতে চান। কিন্তু এ বিয়েতে বান্টি রাজি না। এর প্রতিশোধ নিতে তারাপদবাবু তার খারাপ ডাইনি পাঠিয়ে দিলে খারাপ ডাইনি মান্টিকে অপহরণ করে। অনেকদিন পরে নীলকণ্ঠ পাখির সহায়তায়, ভালো জলপরীকে সঙ্গে নিয়ে ভালো জলপরীর বলে দেওয়া উপায়ে নৌকায় চড়ে বান্টি মান্টিকে উদ্ধার করে। কিন্তু কিভাবে? বান্টি ও মান্টির ভালোবাসা কি পরিণতি পায়? ভালোবাসার মানুষকে উদ্ধার করার হৃদয়বিদারক কাহিনী নিয়ে এই উপন্যাস।
রহস্য উপন্যাস ও লোককথা ভিত্তিক উপন্যাস দুটোই অনবদ্য।
প্রবেশ করুন বা রেজিস্টার করুনআপনার প্রশ্ন পাঠানোর জন্য
কেউ এখনো কোন প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেননি