পটলা ও পাপানের কীর্তিকলাপ

(0 পর্যালোচনা)

লিখেছেন:
অর্পিতা সরকার
প্রকাশক:
দীপ প্রকাশন

দাম:
₹230.00

সংস্করণ:
পরিমাণ:

মোট দাম:
শেয়ার করুন:
প্রকাশক
দীপ প্রকাশন
১৪ বি বঙ্কিম চ্যাটার্জি স্ট্রীট, কলকাতা - ৭৩
(0 ক্রেতার পর্যালোচনা)

আন্টি কোথায় চললে গো?বেড়াতে নাকি? বড় ব্যাগ তো নেই তাহলে যাচ্ছ কোথায়?

কপাল আমার বরাবরই খারাপ। সন্ধেবেলা বাড়ি থেকে যেমনি বেরিয়েছি অমনি পটলার খপ্পরে পড়লাম। 

বললাম, হু একটা কাজ আছে। 

শোনো মা আমায় দেখালো, তুমি ফেসবুকে আমার কানধরা ছবি দিয়েছো। পুরো আমার মুখের মতই মুখ ছেলেটার। এতে আমার সম্মান যথেষ্ট গেছে। ইনসাল্ট ফিল করছি আমি। 

আমি বললাম, কান ধরে দাঁড়িয়ে থাকার সময় ইনসাল্ট ফিল করিস না? তখন তো দাঁত বের করে হাসতে হাসতে বলিস, একটা ছোট্ট দুষ্টুমির জন্য ডোজ পড়েছে। 

পটলা বলল, বাদ দাও। কাজের কথা শোনো। তুমি কি মিও আমরের দিকে বাইচান্স যাবে?

আমি ঘাড় নেড়ে বললাম, কোনো বাইচান্সই যাব না ওদিকে। 

পটলা মাথা চুলকে বলল, যদি তুমি বাইচান্স যাও তাহলে স্বাধীনতা দিবসের জন্য ওরা একটা কাঁচা আম আর পাকা আম মিশিয়ে পেস্ট্রি বানায়, ওটা তাহলে দুটো নিয়ে নিও। একটা পাপানদাদার, একটা আমার। 

আজ হঠাৎ পাপানদাদার জন্য দরদ দেখে একটু অবাকই হলাম। 

ফেরার পথে দেখলাম, হাত পা ছুঁড়ে কান্না জুড়েছে। আমি ডাকতেই চোখে জল ছাড়া কাঁদতে কাঁদতে এল। 

আমায় বলল, গিয়েছিলে দোকানে?

আমি বললাম, তুই আবার কিসের বায়না করছিস?

পটলা বলল, টিম তৈরির। কিন্তু মা কিছুতেই দিচ্ছে না। 

যথারীতি আমার মাথার ওপর দিয়েই গেল। 

বললাম, কিসের টিম। 

পটলা বলল, আরে দেশের টিম। আমি হচ্ছি নেতা। শোনো 15th আগস্ট মাত্র একশো দশটা ফ্ল্যাগ কিনে দিতে বলছি মাকে তো দিচ্ছে না। 

আমি বললাম,অত ফ্ল্যাগ নিয়ে করবিটা কী?

কেন, বন্ধুদের সবাইকে দেব। চারটে সেকশানের সব বন্ধুদের দেব। বিষয়টা বোঝো ভালো করে। 

আমি একশো দশ জনকে ফ্ল্যাগ দিলাম ওরাও আমায় চকলেট দিল। দিয়ে আমাদের একটা টিম তৈরি হল। অন্য ক্লাসের ছেলেপিলেরা মারতে এলে আমি 

অ্যাটাক বলব, আর ওরা তাদের ওপরে ঝাঁপিয়ে পড়বে। এভাবেই তো দেশের টিম তৈরি করতে হয় নাকি? মা কিনে দিচ্ছে না। অনেকক্ষণ কেঁদে কেঁদে কাজও হল না, খিদেও পেয়ে গেল। দাও পেস্ট্রি দাও। 

আমি বললাম, কিন্তু আমি তো বাইচান্স ওদিকে যাইনি রে। 

পটলা বলল, অতটাও বোকা ভেবো না বেগুন আন্টি, যদি তুমি না কিনতে তাহলে পা টিপে টিপে পালিয়ে যেতে। আমার হাত থেকে পালিয়ে বাঁচতে। কিনেছো বলেই না পটলা বলে ডাকলে। তোমার গলা শুনে মনে হচ্ছে একরকম নয় দুরকম কেক এনেছ তুমি। দাও দাও। কান্নাকাটি করা, বায়না করা এসব কম পরিশ্রমের কাজ গো? প্রচুর খাটনি হয়। 

আমি পেস্ট্রিগুলো দিতে দিতে বললাম, সে তো বটেই। পরিশ্রম তো কম নয়। পটলা হাতে প্যাকেটটা নিতে নিতে বলল, যাক তুমি যে বুঝলে এটাই ভালো। 

পটলার এসব পরিশ্রমের অনেক গল্প পাবেন- 'পটলা ও পাপানের কীর্তিকলাপ বইটিতে।'

এই বইয়ের জন্য এখনও কোন পর্যালোচনা নেই

বই সংক্রান্ত জিজ্ঞাসা (0)

প্রবেশ করুন বা রেজিস্টার করুনআপনার প্রশ্ন পাঠানোর জন্য

অন্যান্য প্রশ্নাবলী

কেউ এখনো কোন প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেননি

Boier Haat   |   © All rights reserved 2023.