র্যাডক্লিফ লাইন
অমর মিত্র
পৃষ্ঠা সংখ্যা : ৩৩৬
র্যাডক্লিফ লাইন এক বিধ্বংসী সীমান্তরেখা, যা হিন্দু-মুসলমানের সর্বনাশ ঘটিয়েছিল। এখনও ঘটিয়ে চলেছে। এই উপন্যাস সেই সীমান্তরেখার ভয়ানক অভিঘাত। ১৯৪৭-এর পর থেকে বহমান এই সময়ের কাহিনি ধরা আছে এই বইয়ে।
----------------------
আতিকুজ্জামান তার বসতবাটি বিনিময় করে সাতক্ষীরে চলে গিয়েছিলেন সপরিবারে। তার হাঁটানো মেয়ে আঁখিতারা রয়ে গেল পুকুরপাড়ে, অন্ধকারে একা। সে নিহত হয়েছিল ক-বছর আগে। এত বছর বাদে আতিকুজ্জামানের বাড়িটি ভাঙা হবে। আঁখিমঞ্জিল আর রাখবে না কেউ, তার গায়ে বিধর্মীর চিহ্ন। আতিকুজ্জামানের পুত্র রহিম সাতক্ষীরা থেকে ফিরে এসেছিল এপারে, সেদিন কবির মৃত্যু হয়। মৃত্যুর কয়েক মাস আগে কবি জীবনানন্দ দাশ চিঠি লিখেছিলেন পূর্ব পাকিস্তানের রংপুর জেলার এক কবিকে, তাঁর খুব বরিশাল যেতে ইচ্ছা করে, কিন্তু পাসপোর্ট করে ভিসা নিয়ে বরিশাল যাওয়ার সামর্থ্য তাঁর নেই। পাকিস্তানের জন্ম এক সুর সাধিকার কন্ঠ হতে সুর কেড়ে নিয়েছিল। আব্বাস উদ্দিনের কাছে গান শিখতেন হেমলতা, তাদের দ্বৈতকন্ঠের রেকর্ড ছিল ভাওয়াইয়া গানের। দেশভাগ হতে আব্বাস উদ্দিন চলে গেলেন পূর্ব পাকিস্তান, হেমলতা সুর পরিত্যাগ করলেন। আর কখনও গান গাননি। র্যাডক্লিফ লাইন আসলে এক অভিশপ্ত রেখার নাম! ৭৫ বছর পার করে এসেও সেই অভিশাপ অনেক ক্ষেত্রেই তাড়া করে বেড়াচ্ছে প্রজন্মের পর প্রজন্মকে।
প্রবেশ করুন বা রেজিস্টার করুনআপনার প্রশ্ন পাঠানোর জন্য
কেউ এখনো কোন প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেননি