রক্তচুনির গুপ্তরহস্য
দেবদত্তা বন্দোপাধ্যায়
বইয়ের কথা :
রোলি আর তিন্নি কলেজ স্ট্রিটে খুঁজে পেল একটি ডায়েরি, যাতে লেখা রয়েছে রক্তচুনির কথা। শুভায়ন ওর দুই ভাই বোনকে নিয়ে পারি দিল হিমালয়ের উত্তরে এক পাহাড়ি গ্ৰামে। পাগলা মধু আহরণ করে এই কুলুং উপজাতি জীবিকা নির্বাহ করে, ওদের দেবী রাংকেমি মা রাংগুরা গুহায় থাকেন। সেই গুহায় লুকিয়ে আছে রহস্য। গুপ্তচক্র, যারা খুঁজছে এক বিশেষ প্রাচীন পুঁথি। সিকিমের এক বৌদ্ধ মঠে যা ছিল লুকানো। ওদিকে সিটংএর কমলা বাগান ছেয়ে গেছে এক বিশেষ প্রজাতির পোকায়, নষ্ট হচ্ছে ফলন। রোলি তিন্নি আর শুভায়ন ঘুরতে গিয়ে জড়িয়ে যায় এক অন্য রহস্য জালে। তারা কি খুঁজে পাবে সেই বিশেষ পুঁথি ? জঙ্গলে শুধু পশুরাই পাচার হয় না, পাচার হয় মানুষও। বিয়ে হয়ে লাটাগুড়ির জঙ্গলে এসেছে রিনি, আর জড়িয়ে গেছে এক অদ্ভুত রহস্যে। ঋজুর মেলে অদ্ভুত কিছু প্রাণীর ছবি দেখে রিনি অবাক হয়। ওদিকে রাতুল হারিয়ে গেছে কোথায়, মিতুল কি খুঁজে পাবে তার দাদাকে? এই তিন রহস্য ধরা পড়েছে এই বইয়ের দুই মলাটে।
লেখক পরিচিতি :
দেবদত্তা বন্দ্যোপাধ্যায়ঃ লেখিকার জন্ম উত্তরবঙ্গোর ছোট্ট জনপদ মালবাজারে। পাহাড় ঝরণা আর চা বাগানের মাঝে ডুয়ার্সে বড় হয়েছেন। লেখার শখ ছোট থেকেই, বিভিন্ন দেওয়াল পত্রিকা, লিটিল ম্যাগ থেকে আস্তে আস্তে শুকতারা, নবকল্লোল, আনন্দমেলা, কিশোর ভারতীর পাতায় আত্মপ্রকাশ। বৈবাহিক সূত্রে বর্তমানে বৃহত্তর কলকাতার বাসিন্দা। দুই সন্তানের জননী। নেশায় এক নিরলস সাহিত্য কর্মী, লিখতে ভালোবাসেন সব রকম বিষয়ের উপর। ছোটদের জন্য রহস্য গোয়েন্দা বা ভৌতিক জরের পাশাপাশি প্রাপ্তমনস্কদের জন্য ঐতিহাসিক, সামাজিক ও মনস্তাত্ত্বিক উপন্যাস লিখতেও পছন্দ করেন। বিষয় থেকে বিষয়াস্তরে যেতেই ভালোবাসেন। এই বইতে রয়েছে একটি ইতিহাস আশ্রিত উপন্যাস ও চারটি বড় গল্প। প্রতিটি গল্প সত্যকে সামনে রেখে কিছুটা কল্পনার আশ্রয়ে গড়ে উঠেছে।
প্রবেশ করুন বা রেজিস্টার করুনআপনার প্রশ্ন পাঠানোর জন্য
কেউ এখনো কোন প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেননি
Boier Haat™ | © All rights reserved 2024.