সংকীর্তন
জয় গোস্বামী
অনেকেই জানতেন না কবি জয় গোস্বামী শ্রীচৈতন্যদেবের ঘনিষ্ঠ পার্ষদ অদ্বৈত আচার্যের প্রত্যক্ষ বংশধর। অদ্বৈত-ই শান্তিপুরে এনেছিলেন শ্রীচৈতন্যকে। অন্যপক্ষে, শান্তিপুরই জয় গোস্বামীর পিতৃভূমি। এখন, সত্তর বছরে পৌঁছে প্রবীণ কবির লেখার গতি বাঁক নিয়েছে ভক্তিরসের দিকে। 'সংকীর্তন' শব্দটি শুনলেই কানে ভেসে আসে উদাত্ত কণ্ঠের সংগীত আর তার সঙ্গে শ্রীখোলের অপূর্ব বোল। সত্তরে পৌঁছে কবি জয় গোস্বামীর এই কবিতা নিঃসন্দেহে এক পূর্ণতার দ্যোতক। পূর্ববর্তী কাব্যগ্রন্থ 'প্রণাম'-এ যিনি শ্রীরামকৃষ্ণ, শ্রীমা সারদা, স্বামী বিবেকানন্দের প্রতি নিবেদন করেছিলেন তাঁর অন্তরের শ্রদ্ধার্ঘ্য, 'সংকীর্তন'-এ তিনি নিয়ে এসেছেন তার আজন্ম-লালিত বিশ্বাস আর বৈষ্ণবীয় সংস্কৃতির অপূর্ব মেলবন্ধনকে। শ্রীচৈতন্য-বিষয়ক গ্রন্থরাজিতে বর্ণিত তাঁর লীলাসমূহ উল্লেখ করা হলেও, তার সঙ্গে এই কবিতাগ্রন্থে মিশে গিয়েছে আজকের দিনের জীবনযাত্রাও। কোথাও কোনও বৃদ্ধা ভিখারিনির মধ্যে এ-বইয়ের কবিতা দেখতে পেয়েছে শচীমাতাকে, কোথাও-বা কোনও রাস্তা সারাই করা শ্রমিকের মধ্যে শ্রীগৌরাঙ্গ বা 'গোরা'-কে খুঁজে নিয়েছে এ-বইয়ের কবিতা! যেখানে বৈষ্ণবীয় বিশ্বাস আর ভাবধারা এসে মিশেছে আধুনিক কবিতার মোহানায় মোহানায়
প্রবেশ করুন বা রেজিস্টার করুনআপনার প্রশ্ন পাঠানোর জন্য
কেউ এখনো কোন প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেননি