সত্যজিতের ছেলেবেলা
নলিনী দাশ
বিশ্ববন্দিত চলচ্চিত্রকার সত্যজিৎ রায়ের অনেক কথাই সবার জানা। কিন্তু জানা নেই তার পূর্ব কথা। লোকচক্ষুর অন্তরালে আমার মামাতো ভাই ছোট্ট মানিকের ক্রমে বড় হয়ে ওঠার কাহিনী লেখার জন্য অনেকের কাছে অনুরোধ পেয়েছিলাম। মানিকের ছোটবেলার কথা আমার নিজের সুমধুর বাল্যস্মৃতির সঙ্গে এমনভাবে জড়িয়ে আছে যে তার সুসংবদ্ধ নৈর্ব্যক্তিক ইতিহাস লেখা আমার পক্ষে সম্ভব নয়। যে সব ব্যক্তি আর যে সকল ঘটনা মানিকের শৈশব জীবনে বেশি রেখাপাত করেছিল, তাদের কথাই বেশি লিখলাম। অনিবার্যভাবে লেখাটি কিছুটা এলোমেলো আর অসম্পূর্ণ হল। আশা করি যাঁরা সেদিনকার সেই অখ্যাত কিন্তু অসামান্য শিশুটির কথা জানতে চান, তাঁদের এ বই ভাল লাগবে।
নলিনী দাশ (১৯১৬-১৯৯৩) : তিনি ছিলেন অত্যন্ত মেধাবী ছাত্রী, তিরিশের দশকের মাঝামাঝি থেকে কলকাতার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে অধ্যাপনা করেন ও অধ্যক্ষা ছিলেন । ৪০ ও ৫০এর দশকে খুদে গোয়েন্দাদের নিয়ে দুটি গল্প লেখেন । ১৯৬১তে সত্যজিতের “সন্দেশ”এ নিয়মিত গল্প লিখতে শুরু করেন । লিখেছেন বেশ কিছু রোমাঞ্চকর গল্প । তার মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় হয় গোয়েন্দগণ্ডালুর গল্প-উপন্যাস, চারটি স্কুলের ছাত্রী যাদের প্রত্যেকের ডাকনামের শেষ “লু” দিয়ে । মোট ২৯টি গণ্ডালু কাহিনী পরে সংকলিত হয়েছে দুটি খণ্ডে । পরে তিনি ভাই সত্যজিতের ছেলেবেলার গল্প খুব সরস করে লেখেন । তিনি বিদ্যাসাগর পুরষ্কারও অর্জন করেন । তাঁর নাম “সন্দেশ”-এর যুগ্ম সম্পাদক ছিল প্রায় দুই দশক, যদিও এর আগে আরও এক দশক “সন্দেশ”- এর দপ্তর তাঁর বাড়িতেই ছিল ।
প্রবেশ করুন বা রেজিস্টার করুনআপনার প্রশ্ন পাঠানোর জন্য
কেউ এখনো কোন প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেননি
Boier Haat™ | © All rights reserved 2024.