সত্যজিতের তারিণীখুড়ো
প্রসেনজিৎ দাশগুপ্ত
"ফিল্মের হিরো হবার শখ আমার ছিল না। আমি ভেবেছিলাম আমার গোটা জীবনটাই হবে একটা সিনেমার গল্পো। একটা খাঁটি নির্ভেজাল অ্যাডভেঞ্চার। অথবা বলতে পারিস একটা সিরিজ অফ অ্যাডভেঞ্চার্স"---তারিণীখুড়ো
সত্যজিৎ রায়ের জন্মশতবর্ষ শুরুর কয়েকবছর আগে নীরবে শতবর্ষ পার হয়ে গিয়েছে এমন একটি চরিত্রের যিনি সংখ্যার বিচারে বয়স্ক হলেও আসলে চিরসবুজ এবং আদ্যোপান্ত রঙিন ও রসিক। সেই মানুষটি, মধ্যষাটের তারিণীখুড়োর যখন আবির্ভাব, লেখক সত্যজিতের বয়স তখন ষাট। সাত বছরের মধ্যে লেখকের প্রায় সমসাময়িক এই গল্পবলিয়ে চরিত্রটিকে নিয়ে মাত্র পনেরোটি গল্প লেখা হয়েছিল। গোয়েন্দা ফেলু মিত্তির বা বৈজ্ঞানিক প্রোফেসর শঙ্কুর মতো জনপ্রিয় না হলেও কখনও মনে হতে পারে সত্যজিৎ-সৃষ্ট এই চরিত্রটি হয়তো তাদের দুজনের থেকেও বেশি বর্ণময়। পনেরোটি গল্পে ছড়িয়ে থাকা তথ্য আর ইঙ্গিতের সঙ্গে কিছু যুক্তিসঙ্গত অনুমানের উপর ভিত্তি করে তারিণীচরণ বাঁড়ুজ্জের সন্ধান করা হল এই বইতে। সেই সঙ্গে খানিক আলোকপাতের চেষ্টা করা গেল খুড়োর গল্পের স্রষ্টার মনের একাংশেও।
প্রবেশ করুন বা রেজিস্টার করুনআপনার প্রশ্ন পাঠানোর জন্য
কেউ এখনো কোন প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেননি