সত্যজিৎ রায় ও গল্পের ভূত
প্রসেনজিৎ দাশগুপ্ত
'আমার মনটা খুব খোলা, জানেন....
প্ল্যানচেট, স্পিরিচুয়ালিজম ইত্যাদি সম্বন্ধে আমি অনেক পড়েছি। পরলোকের সঙ্গে যোগাযোগ করা যে সম্ভব সেটা বহু জ্ঞানী-গুণী ব্যক্তি বলে গেছেন; সেক্ষেত্রে প্ল্যানচেট সম্বন্ধে অবজ্ঞা প্রকাশ করার কোনও মানে হয় না। তবে যেমন সব কিছুর মধ্যেও থাকে তেমনই এর মধ্যেও ধাপ্পাবাজি চলে। আসলে মিডিয়ম যদি খাঁটি হয় তা হলেই ব্যাপারটা বিশ্বাসযোগ্য হয়ে ওঠে।'-ভূস্বর্গ ভয়ংকর
"আমি হাঁচি টিকটিকি ভূত-প্রেত দত্যি-দানা বেদ-বেদান্ত আইনস্টাইন-ফাইনস্টাইন সব মানি", বলছিলেন তারিণীখুড়ো। আবার শঙ্ক বিশ্বাস করতেন, ভূত প্রেত অলৌকিক সব কিছুর একটা বৈজ্ঞানিক ভিত্তি আছে। ফেলুদা বলেছিল, "আমার মনটা খুব খোলা, জানেন ... প্ল্যানচেট, স্পিরিচুয়ালিজম ইত্যাদি সম্বন্ধে আমি অনেক পড়েছি। পরলোকের সঙ্গে যোগাযোগ করা যে সম্ভব সেটা বহু জ্ঞানী-গুণী ব্যক্তি বলে গেছেন; সেক্ষেত্রে প্ল্যানচেট সম্বন্ধে অবজ্ঞা প্রকাশ করার কোনও মানে হয় না। তবে যেমন সব কিছুর মধ্যেও থাকে তেমনই এর মধ্যেও ধাপ্পাবাজি চলে।" সত্যজিৎ রায় তাঁর লেখা গল্পে ভূতের আড়ালে মানবিকতা, অলৌকিকের প্রলেপে জটিল মনস্তত্ত্ব কিংবা ভৌতিক আবহে যে সামাজিকতা লুকিয়ে রেখেছেন, সেগুলি সন্ধানের চেষ্টা করা হয়েছে এই বইতে।
প্রবেশ করুন বা রেজিস্টার করুনআপনার প্রশ্ন পাঠানোর জন্য
কেউ এখনো কোন প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেননি
Boier Haat™ | © All rights reserved 2024.