শক্তিরুপেণ : দশমহাবিদ্যার আখ্যান
সোমব্রত সরকার
তান্ত্রিকের তাঁবুতে ভিড় জমেছে। দলে দলে লোক ছুটে আসছে। সেখানে এক মাতাজি এসেছেন তিনি সবার নাম ধাম কোথায় সমস্যা কি প্রতিকার সবই বাতলে দিচ্ছেন। গিয়ে দাঁড়িয়ে হিন্দিতে মাকে বললাম আমি এসেছি।
আমাকে দেখে হেঁটো বাংলায় বললেন "নগেন চাটুজ্জে, বউ মরেছে, বিবাগী দশা, জমি জিরেত, চাষবাস। অনেক সম্পত্তি তোর। আর বে করিস না। গুরু ধর। সাধন কর। তোর সন্ন্যাসযোগ, বে করলে থাকবে না।
মাতাজির কাছে দীক্ষা নিলাম। গুরু ধরলাম ঠিকই বাপধন কিন্তু কথা শুনলাম না। মাঝ বয়সে শরীর ও সংসারের হিল্লোল ফের টানল। বে করলাম। নতুন বউ সাতদিনের মাথায় জলে ডুবে মরল। গুরুর কাছে ছুটলাম ফের। তিনি তখন কামাখ্যা থেকে অনেক গহীন মায়া গ্রামে থাকেন।
যাওয়া মাত্তর মাতাজি বললেন, গেল আরেকটা। তোর সন্ন্যাসযোগ। তবে আবার তোর বিয়ে হবে। সেটাও যাবে। কূল স্বজন পরিজন না হারালে সন্ন্যাসীর পিছটান থাকে। সব সমভাবে নাশ হলে তবেই সন্ন্যাস।
মাতাজির দরবার থেকে ফিরে পণ করলাম আর বে করব না। বাপ মায়ের ঝুলোঝুলি শুরু হয়ে গেল ফের। বংশ রক্ষা করতে হবে নইলে এত জমি জিরেত সম্পত্তি পাঁচ ভূতে খাবে। বচ্চর ঘুরতেই ফের বে হল আমার। জমি নিয়ে জ্ঞাতিরা গন্ডগোল বাড়ালে আইন আদালত হল। এক রাতে আগুন লেগে সব পুড়ে গেল। বউ গেল, বাপ, মা, দিদি, ঠাকুরমা, তিন কূলে কেউ নেই আমি পড়ে আছি।
আবার গেলাম গুরুর কাছে। মাতাজির সঙ্গে দেখা করলাম উনি দেখা মাত্তর বললেন তোর সন্ন্যাসযোগ শুরু হয়েছে।
সেই থেকে মাতাজির সঙ্গে আছি বাপ।
প্রবেশ করুন বা রেজিস্টার করুনআপনার প্রশ্ন পাঠানোর জন্য
কেউ এখনো কোন প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেননি