শৌরি

(0 পর্যালোচনা)
লিখেছেন/সম্পাদনা করেছেন
বিশ্বজিৎ দে

মূল্য
₹250.00
পরিমাণ
মোট দাম
শেয়ার করুন

শৌরি 

বিশ্বজিৎ দে 

সদ্য প্রকাশিত গল্প সংকলন বইটির থেকে......

।। মুখবন্ধ ।।

খাণ্ডব অরণ্য দহন করার জন্য স্বয়ং অগ্নি দেব যেন একটু বিপাকে পড়লেন। দেবরাজ ইন্দ্র নিজে যে এই অরণ্যের রক্ষক। সাহায্য করতে এগিয়ে এলেন কৃষ্ণার্জুন জুটি। নিজ পুত্রের সাথে নারায়ণের যুগলবন্দী, দেবরাজ সরে দাঁড়ালেন। কৃতজ্ঞ অগ্নিদেব চাইলেন অর্জুনকে অনন্য কিছু উপহার দিতে। দেবশর্মা বিশ্বকর্মাকে দিয়ে অপার্থিব বস্তু সম্মিলনে বানালেন এক অদ্ভুত রথ। এটি তিনদিকে ছুটে যেতে পারে অবলীলায়। অন্য অর্থে, তিন দিশা জগতের তিন দশা – শারিরীক, মানসিক আর অধ্যাত্মিক। এ রথের ঘোড়া সর্বদা অক্লান্ত। রথী ও তাই অপরাজেয়।

অজ্ঞাতবাস কালে অর্জুনের ইচ্ছা হল, রামেশ্বর দর্শন করবেন। সেখানে গিয়ে বানর সেনাদের নির্মিত অসামান্য সেতু দেখে ভাবলেন, প্রভূ রামচন্দ্র এমন বীর স্বয়ং শর যোজন করেই তো একটা সেতু বানিয়ে ফেলতে পারতেন, এই অমানুষদের সাহায্য কিসের দরকার পড়ল ? পাথর ফেলে সেতু তো সেই প্রভূর নামেই জলে ভেসে আছে। এক বৃদ্ধ বানরের বেশে স্বয়ং হনুমান পাশে পাশে ঘুরছিলেন। যেন মনের কথা পড়ে ফেললেন, ‘তুমি বুঝি খুব তীরন্দাজ বীর? এই পাথর থেকে ঐ পাথরে একটা সেতু বানাও দেখি কেমন পারো !!’ অর্জুনের সেই সেতুতে বৃদ্ধ বানর উঠতেই ভেঙে পড়ল, ‘এ-তো দেখছি একজনেরই ওজন বইতে পারেনা। এতজনে লঙ্কা অবধি যেতে পারত ?’অর্জুনের টনক নড়ল, এই বৃদ্ধ তবে কে? নতজানু হয়ে ক্ষমা চাইতে হনুমান স্বরূপ দেখিয়ে আশীর্বাদ করলেন, আমায় প্রতীক করে তোমার রথের ধ্বজায় রেখো। সদা সুরক্ষিত থাকবে। অর্জুনের সেই বিখ্যাত রথ ‘নন্দীঘোষ’ মাথায় নতুন নিশান আভূষনে নাম পেল ‘কপিধ্বজ’। অগ্নির বেগে পার্থের রথ দৌড়ায় আর তাতে ইন্ধন যোগায় বায়ুসম সারথী কৃষ্ণ !

 কুরুক্ষেত্রের ভীষণ ধর্ম-যুদ্ধের শেষ দিনে সব মহারথী পতনের পরে সন্ধ্যায় কৃষ্ণ অর্জুনকে বললেন,’গান্ডীব তূনীর নিয়ে তুমি তাড়াতাড়ি রথ থেকে নেমে যাও, তারপর আমি নামছি।‘ সেইমত অর্জুনের পরেই লাফ দিয়ে শ্রীকৃষ্ণ নামতেই প্রথমে কপিধ্বজ উধাও হয়ে গেল। রথ দপ করে জ্বলে উঠে সশব্দে বিস্ফোরণ করে ভস্মস্যাৎ হল। অর্জুনের জিজ্ঞাসায় কৃষ্ণ উত্তর দিলেন,’মহাবলী দ্রোণ আর কর্ণের অস্ত্রের ভয়াবহ আঘাতে রথখানি পূর্ণ দগ্ধ হয়ে গেছিল। বিশ্বকর্মার সৃষ্টি আর মাথায় বানর নিশান শেষ পর্যন্ত তোমায় ছেড়ে যায়নি, কারন আমি নিজে সে রথে উপবিষ্ট ছিলাম।‘ তাই ধর্ম যেখানে শ্রীকৃষ্ণ সেখানে আর শ্রীকৃষ্ণ যেখানে বিজয় সেখানে। 

এই রকম জানা গল্প অনেকবার শুনলেও, পড়লে যেন একটা অন্য তৃপ্তি আসে। গল্প লিখে অন্যদের মনে নাড়া দেবার প্রচেষ্টাও এক স্বতন্ত্র আনন্দ দেয়। আমার প্রথম গল্প সংকলন ‘আহির’ পাঠক চিত্তে কতটা আলোড়ন তুলতে সক্ষম হয়েছে জানা নেই তবে বর্তমানের এই দ্বিতীয় সংকলনে আরেকবার প্রয়াস রইল। গল্পগুলি চেনা মানুষদের, আশ পাশের ঘটে যাওয়া ঘটনার সাথে সংপৃক্ত, মানব মনের বিভিন্ন অনুভূতির বহিঃপ্রকাশ ফলশ্রুতি। ‘শৌরি’ সংস্কৃত শব্দ ‘আদিত্যভুক্ত’ মানের সূর্যমুখী গোত্রের একটি উদ্ভিদ। সমার্থ প্রভূ বিষ্ণু। এখানে সুর বংশজ ‘কৃষ্ণ’ অর্থে ব্যবহার হয়েছে। ‘আহির’ নাম অর্থ তাইই ছিল। উদ্দেশ্য ওপরের তৃতীয় অনুচ্ছেদ শেষে ব্যক্ত করা আছে।  প্রায় সব গল্পে নারী প্রধান চরিত্রের গোপী পরিবৃত হয়ে আছেন গোপীনাথ। যদি এই সংকলন সত্যি সত্যি পাঠকের মনোগ্রাহী লাগে তবে তার যাবতীয় কৃতিত্ব প্রকাশক- প্রচ্ছদ শিল্পীর সাথে সমভাগ করে নিতে চাই।

বিশ্বজিৎ দে

শুভ দোল পূর্ণিমা

বাং - ২৯ শে ফাল্গুন, ১৪৩১ সন

ইং- ১৪ই মার্চ, ২০২৪ 

***********

স্বামী পরিত্যক্তা, নীলা বলে মেয়েটা অন্যের দোকানে রুটি করে বাচ্ছা মানুষ করে। তার জীবনে নতুন ভালোবাসা আসতে বাধা কোথায়?

মালিনী বিধবা, একমাত্র মেয়ে চাকরি করে। দোরে দোরে গান শুনিয়ে যাওয়া ছেলেটিকে তাঁর কেন ভালো লাগবে না? কস্তুরী আর পল্লবী মাঝবয়সী, পূর্ণ-পরিণত সংসারী। তাও বারবার ঠকে যাবে, তা তো চলে না। বালিকা অলি, স্নেহা, রুচিরা, মোহর, শিঞ্জিনী বা নীতু আত্মপরিচয় আবিস্কার করবে কিভাবে, কতটা সাবালক হলে? লেখ বা ইতু কেনই বা বাস্তব জীবন নামক শিক্ষকের সামনে পড়তে বসে? সুখের খোঁজে, গৃহবধূ হিয়া বা শ্রমিক রেশমি কতটা হিসেবি? অপর্ণার কিংবা সুধাময়ীর পৌত্র প্রেম কতটা শুদ্ধ? অবুঝ স্বার্থান্বেষী যাজ্ঞসেনী আর অদ্রিজারা কি মিথ নারী মীরা বা গান্ধারীর মতো কেবলই পরিস্থিতির শিকার? এরমাঝে, একা মিত্তিরবাবুই বা কেন বাকি উনিশটা নারীর সাথে লড়ছেন? এক কুড়ি ভিন্ন স্বাদের গল্পের মাঝে উত্তর খোঁজার চেষ্টা এই সংকলনে!!

পর্যালোচনা ও রেটিং

0 মোট 5.0 -এ
(0 পর্যালোচনা)
এই বইয়ের জন্য এখনও কোন পর্যালোচনা নেই

বই সংক্রান্ত জিজ্ঞাসা (0)

প্রবেশ করুন বা রেজিস্টার করুনআপনার প্রশ্ন পাঠানোর জন্য

অন্যান্য প্রশ্নাবলী

কেউ এখনো কোন প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেননি